শতাধিক ব্যক্তি চলছেন গানম্যান নিয়ে ॥ ব্যবহার হচ্ছে অবৈধ অস্ত্র ॥ সৃষ্টি করছেন আতংক

149

কাজিরবাজার ডেস্ক :
রাত তখন সাড়ে আটটা। প্রচন্ড যানজটের সময়-গুলশান লিংক রোডের মোড়। হঠাৎ সাইরেন বাজাতে বাজাতে একটি মোটর বহর আসতেই পথচারীরা আঁতকে ওঠে রাস্তা ছেড়ে দেন। মুহূর্তেই পার হয়ে যায় মোটর বহর যার আগে পিছে গানম্যানের গাড়ি। মাঝে কালো ল্যান্ডক্রুজার গাড়িতে বসা ভিআইপি। পুলিশও একটা স্যালুুট দিয়ে আরেক ধাপ এগিয়ে দেয়। দুই গাড়িতে আগে-পিছে চারজন করে বডিগার্ড। প্রত্যেকের হাতে শটগান। একজনের হাতে লাইট সিগন্যাল ও মুখে বাঁশি। রাজধানীতে এমন চিত্র অহরহ দেখা যায়। বীরদর্পে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শত শত ভিআইপির বহর। পুলিশ প্রশাসন খতিয়েও দেখে না। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে- কারা এই ভিআইপি, কারা বাজাচ্ছে সাইরেন এ প্রশ্নের উত্তর এখন পুলিশসহ অন্য গোয়েন্দারা খুঁজতে শুরু করেছে জিকে শামীম ধরা পড়ার পর। তাকে গ্রেফতারের সময় তার ব্যক্তিগত ৭ নিরাপত্তা রক্ষীকেও গ্রেফতার করা হয়। তাদের প্রত্যেকেরই রয়েছে আলাদা আলাদা লাইসেন্সের শটগান (ছোট বন্দুক)। শামীমের গানম্যানের সূত্র ধরে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পেয়েছে ভয়ঙ্কর তথ্য। দেশের একজন বহুল বিতর্কিত ব্যবসায়ীর গানম্যানের দাপটে নাকি গুলশানের আদি বাসিন্দারাও রীতিমতো তটস্থ থাকেন। হঠাৎ গজিয়ে ওঠা এ ধরনের তথাকথিত ভিআইপিরা টাকার গরমে যেভাবে দাম্ভিকতা দেখায় তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নিজেও। গত সপ্তাহে এক অনুষ্ঠানে তিনি রাজপথে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী তথাকথিত গানম্যান ওয়ালাদের সম্পর্কে এ ধরনের দাম্ভিকতা দেখানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
পুলিশ বলছে- এভাবে একজনের লাইসেন্স নিয়ে আরেকজনের ভাড়াটে দেহরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালন সম্পূর্ণ বেআইনী। আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের শর্তের লঙ্ঘন। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বৈধ অস্ত্র দিয়ে অবৈধ কর্মকান্ড করা। এ ধরনের অপরাধে লাইসেন্স বাতিলসহ জেল জরিমানা হতে পারে। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা যায়, এভাবেই রাজধানীতে শতাধিক ব্যক্তি নিজেদের ভিআইপি হিসেবে পরিচয় দিয়ে ভাড়াটে গানম্যান ব্যবহার করছেন। এতে জননিরাপত্তাও বিঘ্নিত হচ্ছে। ভাড়াটে গানম্যানরা অনেক সময় নিজেদের সরকারের আইনের লোক হিসেবে পরিচয় দিয়ে সমাজে ত্রাস সৃষ্টির পাশাপাশি ব্যক্তিগত ফায়দা লুটছে। এদের বিরুদ্ধে কেউ কোন টুঁ শব্দটিও করার সাহস রাখে না। জমি দখল থেকে শুরু করে চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী, টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তারের মতো কঠিন অপরাধ করছে নির্বিঘেœ। তাদের দেখার ও রোখার কেউ নেই। গানম্যানদের নানা ধরনের অপকর্মের কথা উল্লেখ করে সম্প্রতি খোদ প্রধানমন্ত্রী নিজেও বিরক্ত প্রকাশ করে বলেছেন, হঠাৎ কিছু লোক রাতারাতি পয়সার মালিক হয়ে যেভাবে ফুটানি করে তা বলার মতোও নয়। প্রকৃত বড়লোকরা কখনও এমন ফুটানি করে না।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে- জিকে শামীমের ৭ দেহরক্ষী গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে এ ধরনের ভয়ঙ্কর তথ্য। কিভাবে দিনের পর দিন এসব গানম্যান টেন্ডার মার্কেট কব্জা করেছে, কিভাবে কাঁচাবাজারে গিয়ে মাছ কিনে টাকা পরে দেবে বলে জুলুম করেছে সেসব কাহিনী এখন বেরিয়ে আসছে।
এ ধরনের এক উদাহরণ টেনে মিরপুরের এক ভুক্তভোগীর ব্যবসায়ীর অভিযোগ করেন, এক যুবনেতা গানম্যান নিয়ে চলেন বীরদর্পে। তার অজান্তে তার দেহরক্ষীরা যখন গান নিয়ে ব্যক্তিগত বাজার করতে যায়- তখন তারা পরিচয় দেয় ডিবির লোক হিসেবে। ভীতসন্ত্রস্ত ইলিশ মাছ ব্যবসায়ী কেনা দামে ভাল মাছটা তাকে বিকিয়ে দেয়। সম্প্রতি এ নিয়ে মিরপুরের একটি মার্কেটে গন্ডগোল দেখা দেয়। তার মতো এমন শত শত লোক রাজধানীতে গানম্যান ফ্যাশন চালু করেছেন। তারা অস্ত্র লাইসেন্সধারী ব্যক্তিদের দেহরক্ষী হিসেবে ভাড়া নিয়ে এ ধরনের বেআইনী কর্মকান্ড করছেন।
মাসখানেক আগে গুলশানের এক মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে এক তথাকথিত ভিআইপির গাড়ির বহরকে সাইড না দেয়ায় তার গানম্যানের কবলে পড়ে বেইজ্জতি হয়েছেন আরেক শিল্পপতি। এ নিয়ে হুলস্থুল পড়ে যায়। ঘটনা সামাল দিতে পরে মুসল্লিরা উভয়পক্ষকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন।
রাজধানীতে ঠিক এই মুহূর্তে কতজন এভাবে গানম্যান ব্যবহার করছেন সেটার প্রকৃত পরিসংখ্যান দিতে পারেনি মহানগর পুলিশ। মহানগর পুলিশের জনসংযোগ শাখার প্রধান উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান বলেছেন, গানম্যানের সঠিক পরিসংখ্যান আমাদের কাছে নেই। এটা দেখে এসবি প্রটেকশান। তারাই মনিটর করে।
এ বিষয়ে বিভিন্ন থানায় যোগাযোগ করে জানা গেছে, কমপক্ষে দুই শতাধিক ব্যক্তি গানম্যান ব্যবহার করছেন। তাদের বেশির ভাগই একান্তই নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের শতার্দী মেনে চলছেন। মুষ্টিমেয় কজন এ শর্ত ভঙ্গ করে ত্রাস সৃষ্টি করার পাশাপাশি অবৈধ কাজে ব্যবহার করছেণ গানম্যানদের। মাছের বাজার থেকে শুরু করে জমি দখল, টেন্ডারবাজি, ও পাড়ায় অধিপত্য বিস্তারের মতো কাজে বেপরোয়া মনোভাবে ব্যবহার করা হয় গানম্যানদের। গানম্যান বা বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র সুনির্দিষ্ট নিয়মকানুন রয়েছে যা ভঙ্গ করে শাস্তির বিধান রয়েছে। এ সম্পর্কে পুলিশের সাবেক আইজিপি নুরুল আনোয়ার বলেন- গানম্যান যিনি রাখেন, তারই দায়িত্ব সেই অস্ত্রের পবিত্রতা বজায় রাখা। ওই অস্ত্র দিয়ে গানম্যান তার অজান্তেও কোন ধরনের ক্রাইম করলে তারও দায় নিতে হবে তাকেই। এখন কে কোন পরিস্থিতিতে গানম্যান ব্যবহার করছেন, আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা তার দেখভাল করার সার্বিক দায়িত্ব পুলিশের একটি বিশেষ ইউনিট ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। অর্থাৎ লাইসেন্সিং অথরিটিকেই এ দায়িত্ব পালন করতে হয়।
জানা গেছে, বৈধ অস্ত্রে অবৈধ গুলি ব্যবহার করারও বেশ কিছু ঘটনা সাম্প্রতিক পুলিশেরই তদন্তে উঠে এসেছে। জিকে শামীমের সাত গানম্যান ধরায় পড়ায় এখন পুলিশ তদন্তে নেমে পিলে চমকানো তথ্য পাচ্ছে। শামীমের ওই সাত গানম্যান একত্রে একবার গুলশানের একটি শপিংমলে গিয়ে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করে অর্ধেক দামে লাখ টাকার পণ্য কিনে নিয়ে আসে। তারা শামীমকে অফিসে রেখে গাড়ি নিয়ে একত্রে মার্কেটে গিয়ে দল বেঁধে এমনভাবে কেনাকাটা করছিল যা দেখে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। তারা যে জিকে শামীমের গানম্যান এ পরিচয় গোপন রেখে আইনের লোক পরিচয় দেয়ায় ভীতি ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযোগ রয়েছে, গানম্যানদের মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ তাদের নিয়মিত তদারকি করার বিষয়টিকে উটকো ঝামেলা মনে করে। এতে গানম্যানরা আরও বেপরোয়া হয়ে পড়ছে। জিকে শামীমের গানম্যানদের একটি সংস্থার সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে- তারা যখন সাইরেন বাজিয়ে গাড়ির বহর নিয়ে মহানগর জুড়ে বেড়ালেও কোনদিন কোথাও পুলিশের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়নি। উল্টো ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা স্যালুট দিয়ে দ্রুত রাস্তা ক্লিয়ার করে দিতো।
এ সব লাইসেন্স কোথা থেকে কিভাবে কারা নিচ্ছে সে সম্পর্কে খোঁজ নিতে গিয়ে মিলেছে আরও অবিশ্বাস্য তথ্য। সাধারণত জেলা প্রশাসন আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দিয়ে থাকে। যে কোন নাগরিক তার নিরাপত্তা স্বার্থে শর্তসাপেক্ষে একটি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেতে পারেন। সেটা একমাত্র তিনি নিজের নিরাপত্তার কাজেই ব্যবহার করতে পারেন। অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা হলে সেটা হবে অবৈধ। এ সব শর্ত ভঙ্গ করে এখন দেখা যাচ্ছে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা তথাকথিত ধনাঢ্য ব্যবসায়ী বা বেসরকারী ভিআইপি কালচার গড়ে উঠেছে। তারা জিকে শামীম স্টাইলে একাধিক গানম্যান ভাড়া করে সমাজে রামরাজত্ব কায়েম করছে। প্রতিদিন রাজধানীতে তিনি সাইরেন নিয়ে গাড়ি বাজিয়ে চলাচল করতেন। তার বহরকে নির্বিঘ্নে রাস্তা অতিক্রমের সুযোগ দিতে দেরি হলে গানম্যানরা নেমেই মারধর এমনকি প্রকাশ্য দিবালোকে তুলে নিয়ে অফিসের ভেতর আটকে নির্যাতন করত বলে অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে ইদানীং বেসরকারী নিরাপত্তা কোম্পানিগুলোও আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সধারী লোকজনকে চাকরি দিয়ে তাদের ভাড়া দিচ্ছে তথাকথিত ভিআইপির কাছে। র‌্যাব পরিচালক কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেছেন-এটা সম্পূর্ণ বেআইনী। এটা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কত ভিআইপি গানম্যান নিয়ে সমাজে আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন তার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। অচিরেই অভিযান চালানো হবে।
ব্যক্তিগত লাইসেন্স নিয়ে অন্যের ভাড়াটে দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করতে পারে কিনা জানতে চাইলে সাবেক আইজিপি নুরুল আনোয়ার বলেন, এটা আইনে বাধা নেই। যিনি নিরাপত্তার জন্য এ ধরনের বডিগার্ড রাখবেন, এটা তাকেই নিশ্চিত করতে হবে যে এই বৈধ অস্ত্র কোন ধরনের অবৈধ কাজে ব্যবহৃত হবে না। যদি এমনটি ঘটে তবে দায় তাকেও নিতে হবে। তবে দেখতে হবে সেই আগ্নেয়াস্ত্রের অপব্যবহার করা হয় কিনা। লাইসেন্সের শর্তভঙ্গ হয়েছে কিনা। আগ্নেয়াস্ত্রের রকমভেদে লাইসেন্স দিয়ে থাকে জেলা প্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু বৈধ অস্ত্র অবৈধ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা সেটা নজরদারি তদারকি করবে থানা পুলিশ। সাধারণত সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ নিয়মিত মনিটর করে দেখবে ওই অস্ত্র দিয়ে কোন অবৈধ কাজে ব্যবহৃত হয়েছে কিনা। যদি হয়ে থাকে তাহলে ব্যবস্থা নিবে। বছরে একবার লাইসেন্সের মেয়াদ নবায়নের সময় দেখবেন জেলা প্রশাসন। ঠিক থাকলে ঠিক। ব্যত্যয় ঘটলে ব্যবস্থা- এই হচ্ছে মোটা দাগে অস্ত্র ব্যবহারের আইনগত ভিত্তি।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, ব্যক্তিগত লাইসেন্স নিয়ে যদি কোন ভিআইপির বডিগার্ড হিসেবে বা গানম্যান হিসেবে ব্যবহার করা হয় সেটা আইনে বাধা নেই। দেখতে হবে কোন অনিয়ম বা শর্তের ব্যত্যয় ঘটেছে কিনা। রাজধানীতে সাইরেন বাজিয়ে কোন বেসরকারী ভিআইপি রাজপথ দাপিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন- এটা বিধিসম্মত নয়। রাজপথ সবার। বিশেষ কোন ব্যক্তি সাইরেন বাজিয়ে বিশেষ সুবিধা নিতে পারেন না। জিকে শামীম যেভাবে সাইরেন বাজাতো সেটা এখন জানা গেছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেছেন, আগ্নেয়াস্ত্রের শর্তাদী মেনে লাইসেন্স নিয়ে একজন অন্যের বডিগার্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারে। কিন্তু কেউ যদি সেই অস্ত্র নিরাপত্তা ছাড়া অন্য কাজে ব্যবহার করে ফায়দা লুটে তা অপরাধ। এজন্য মামলা হতে পারে। সেই বিধান তো রয়েছেই। একজন ব্যক্তি এক দুটো অস্ত্রধারী দেহরক্ষী রাখতে পারে। কিন্তু সাতজন বডিগার্ড রাখাটা এবনরমাল। এটা স্বাভাবিকভাবে দেখার কোন সুযোগ নেই। এগুলো এখন মনিটর করা হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা ইতোমধ্যে নির্দেশ দিয়েছি এ ধরনের গানম্যানদের সম্পর্কে ব্যবস্থা নেয়ার। পুলিশ সব সময়ই লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্রধারীদের নজরদারি করে। এটা এখন আরও জোরদার করা হয়েছে। তারপরও যদি কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে লাইসেন্স বাতিল করে প্রত্যাহার করে নেয়া হতে পারে আগ্নেয়াস্ত্র। এ ধরনের শাস্তির নজিরও রয়েছে।
এ ধরনের গানম্যান প্রথার বিরুদ্ধে র‌্যাব কেন নিশ্চুপ জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, কত জায়গায় আর হাত দেব। এক ভেজালেই তো সময় যাচ্ছে। তবে অপেক্ষায়- থাকুন খুব শীঘ্রই দেখতে পাবেন এ ধরনের তথাকথিত ভিআইপিদেরও গানম্যানদের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। বেশি নয়-গুলশান বনানীতে এ ধরনের দু’একজনকে গাড়ি থেকে থামিয়ে তাদের হাঁটিয়ে বাড়ি যেতে বাধ্য করলেই- বাকিরা সব ঠিক হয়ে যাবে।