মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুরে ক্ষুদে ডাক্তারদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থী ক্ষুদে ডাক্তারদের নিয়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার জগন্নাথপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে স্থানীয় আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর বিশ^ জলাতঙ্ক দিবস ও ১ অক্টোবর থেকে ৭ অক্টোবর কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উপলক্ষে ক্ষুদে ডাক্তারদের সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট বিভাগীয় শিক্ষা উপ-পরিচালক একেএম সাফায়েত আলম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান, জগন্নাথপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু।
জগন্নাথপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইনষ্ট্রাক্টর হারুনুর রশীদ চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ শায়খুল ইসলাম, উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ, শিক্ষক সুদীপ ভট্টাচার্য, দৈনিক ইত্তেফাক প্রতিনিধি আবদুল হাই, ক্ষুদে ডাক্তার তাহিয়া আঞ্জুম রাজা, মুনতাহারা ইকরা প্রমুখ।
এ সময় উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা রাপ্র“চাই মারমা, শিক্ষক ধীরেন্দ্র তালুকদার, আবদুল মালেক, মোশারফ হোসেন, রুপক দেব, জালাল উদ্দিন, আলমগীর হোসেন, সালেহা পারভীন, জগন্নাথপুর উপজেলা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান মিয়া সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এতে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে আসা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ঢল নামে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একেএম সাফায়েত আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে এখন থেকে কোমলমতি শিশুদের মনোযোগ সহকারে লেখাপড়া করতে হবে। সেই সাথে অভিভাবকরা অবশ্যই তাদের সন্তানদের লেখাপড়া করাতে উৎসাহী হতে হবে। যেন শিক্ষা অধিকার থেকে কোন শিশু বাদ না পড়ে। সেদিকে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, আজকের ক্ষুদে ডাক্তার শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে সত্যিকারের ডাক্তার হয়ে মানব সেবা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তা হলেই উন্নত ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
এছাড়া সম্মেলনে জলাতঙ্ক রোগ ও কৃমির ক্ষতি বিষয়ে সতর্ক করা হয় এবং তা থেকে বাঁচতে করনীয় পরামর্শ দিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সচেতন হওয়ার আহবান জানানো হয়।