বাহুবলে পুলিশের ওপর অটোরিক্সা শ্রমিকদের হামলা, ওসিসহ আহত ২০

6

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলাচলরত সিএনজিচালিত অটোরিক্সার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করার সময় হামলার শিকার হয়েছে পুলিশ সদরা। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জের বাহুবলে সিএনজিচালিত অটোরিক্সা শ্রমিদের হামলার শিকার হয় পুলিশ।
এতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। ঘটনার পর গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছে অটোরিক্সা শ্রমিকরা।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলাচলরত সিএনজিচালিত অটোরিক্সা (থ্রি হুইলার) আটকে দুপুরে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে কয়েকজনের চালকের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়লে পালিয়ে যায় তারা।
ওসিসহ আহত উপ পরিদর্শক (এসআই) মাসুক মিয়া, সহকার উপ পরিদর্শক (এএসআই) হাবিবুর রহমান, কনস্টেবল রিফাত, আমিনুল হোসেন, রফিকুল ইসলাম ও নিশান কান্ত দেবকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলে হাইকোর্ট থেকে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যে কারণে বৃহস্পতিবার দুপুরে মিরপুর এলাকা থেকে একটি অটোরিকশা আটক করে পুলিশের গাড়ির পেছনে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এ সময় শ্রমিকরা পুলিশের ওপর হামলা করে এবং ইটপাটকেল ছুড়লে সাত পুলিশ সদস্য আহত হন।
পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ ৮ রাউন্ড ফাঁকাগুলি নিক্ষেপ করেছে বলেও জানান তিনি।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক নেতার দাবি, মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিক্সা চালানোর জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে মাসোহারা দেওয়া হতো। তবুকে কেন এ অভিযান চালানো হচ্ছে সে জন্য শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের পর জেলাজুড়ে কাগজপত্রবিহীন সিএনজিচালিত অটোরিক্সা শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গ্রেফতার এড়াতে গা-ঢাকা দিয়েছে মহাসড়কে চলাচলরত সিএনজিচালিত অটোরিক্সা চালকরা।
এ ব্যাপারে কথা বলতে মহাসড়কের মিরপুর এলাকায় চলাচলত অটোরিক্সা শ্রমিক নেতাদের মোবাইল ফোনে বার বার কল করলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
হবিগঞ্জ রোডে চলাচলরত সিএনজিচালিত অটোরিক্সার লাইনম্যান বোরহান উদ্দিন বলেন, গ্রেফতার আতঙ্কে শ্রমিকরা গা-ঢাকা দিয়েছে। মোবাইল ফোনেও তাদের পাওয়া যাচ্ছে না।
বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়েশা হক বলেন, যানজট নিরসনের উদ্দেশ্যে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। শ্রমিকরা পুলিশের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।