ফের বাংলাদেশ জিম্বাবুইয়ের আবারো লড়াই আজ

7

স্পোর্টস ডেস্ক :
ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজের ঢাকায় হওয়া লীগপর্ব শেষ। আজ থেকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে লীগপর্বের বাকি খেলা শুরু হবে। বাংলাদেশ ও জিম্বাবুইয়ের মধ্যকার আবার লড়াই দিয়েই চট্টগ্রাম পর্ব শুরু হবে। দুই দলের ম্যাচটি সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শুরু হবে।
দুই দলের কাছেই আজকের ম্যাচটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ফাইনালে ওঠার আশা জিইয়ে রাখতে হলে জেতার বিকল্প জিম্বাবুইয়ের কাছে নেই। আবার জিম্বাবুইয়ে হারলেই এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজের ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করে নেবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের পয়েন্ট তালিকায় এখন ২ পয়েন্ট আছে। ঢাকাপর্বের প্রথম ম্যাচেই জিম্বাবুইয়েকে ৩ উইকেটে হারিয়ে সেই পয়েন্ট পেয়েছে বাংলাদেশ। এরপর আফগানিস্তানের কাছে ২৫ রানে হারে বাংলাদেশ। আফগানদের কাছে হেরে বাংলাদেশ দলও এখন আছে চাপে। দেশের মাটিতে খেলা। অথচ আফগানিস্তানের কাছে বারবার হার হচ্ছে। এই চাপ জয় করতে হলে শুধু আজ জিম্বাবুইয়েকে হারানোই নয়, সিরিজে শিরোপাও জিতে নিতে হবে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশের যেখানে ২ পয়েন্ট আছে। সেখানে জিম্বাবুইয়ের পয়েন্ট ভা-ার শূন্য। আফগানিস্তান সবচেয়ে সুবিধাজনক স্থানে আছে। টানা দুই ম্যাচ জয়ে ৪ পয়েন্ট পেয়েছে আফগানরা। আফগানিস্তান ফাইনালে উঠে যাওয়ার সব বন্দোবস্ত করেই রেখেছে। পয়েন্ট সব দলের সমান হলেও রানরেটে আফগানিস্তান অনেক এগিয়েই থাকবে। বাংলাদেশ ও জিম্বাবুইয়ে নিজেদের নিয়ে তাই ভালভাবেই ভাবছে।
বাংলাদেশ যদি আজ জিতে যায় তাহলে জিম্বাবুইয়ের সামনে ৪ পয়েন্ট হওয়ার সুযোগ নেই। দুই দলেরই পরের প্রতিপক্ষ হচ্ছে আফগানিস্তান। জিম্বাবুইয়ের ২ পয়েন্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যদি আফগানিস্তানকে হারাতে পারে। তার মানে আজ বাংলাদেশ জিতলে আফগানিস্তানকে নিয়েই ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করে নেবে।
বাংলাদেশ দল এখন আছে চাপে। এই চাপে থাকায় জিম্বাবুইয়ে সুযোগ খুঁজছে। যদি চাপে থাকা বাংলাদেশকে কোনভাবেই হারিয়ে দেয়া যায়। সিরিজে দুই দলের প্রথম টি২০তে বাংলাদেশকে চাপে রাখতে পেরেছিল জিম্বাবুইয়ে। ম্যাচ শেষ ওভারে গিয়ে শেষ হয়। জিম্বাবুইয়ে ক্রিকেটাররা তাই আত্মবিশ্বাসী আজ বাংলাদেশকে হারিয়ে দিতে পারে। শুধু বাংলাদেশকে হারানো নয়, নিজেদের পরের ম্যাচে আফগানিস্তানকেও হারিয়ে ফাইনালে খেলার সম্ভাবনাও দেখছে জিম্বাবুইয়ে।
জিম্বাবুইয়ের অলরাউন্ডার শন উইলিয়ামস যেমন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে আমাদের জিততেই হবে। আসলে পরের দুটি ম্যাচই আমাদের আবশ্যিক জয়ের ম্যাচ। আমরা যদি মৌলিক দিকগুলো ঠিকঠাক করতে পারি, যেমন ফিল্ডিং, কিছু সূক্ষ্ম ব্যাপার আছে, সেগুলো যদি ঠিকঠাক করতে পারি, দুটি ম্যাচ জয়েরই ভাল সম্ভাবনা আছে আমাদের।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘আগের দুটি ম্যাচেই আমরা উভয় দলকে কঠিন সময় দিয়েছি, শেষ ওভার পর্যন্ত টেনে নিয়েছি। সামনে যদি মাঠে সময়মতো ভাল সিদ্ধান্ত আরও নিয়মিতভাবে নিতে পারি, আমাদের এগিয়ে যাওয়ার ভাল সম্ভাবনা আছে। অবশ্যই (ফাইনালে খেলা সম্ভব), আমি সবসময়ই বিশ্বাস করি। খেলাটায় পার্থক্য গড়ে সূক্ষ্ম কিছু বিষয়। কিছুই অসম্ভব নয়। আমরা মাঠে নেমে সর্বোচ্চটা উজাড় করে দেব।’
তিন দলের এখনও দুটি করে ম্যাচ বাকি আছে। যদি জিম্বাবুইয়ে আজ বাংলাদেশকে হারিয়ে, পরের ম্যাচে আফগানিস্তানকেও হারায়; তাহলে ফাইনালে খেলার সুযোগ ধরা দিতে পারে। সেই আশাতেই আজ নামবে জিম্বাবুইয়ে।
বাংলাদেশ কী ছেড়ে দেবে? যতই চাপ থাকুক। দলে যতই পরিবর্তন আনা হোক। ক্রিকেটাররা নিশ্চয়ই ভাল কিছু করে দেখাতে উদগ্রীব। খারাপ সময় যাচ্ছে। এই সময় কোনভাবে দূর হয়ে গেলেই তো হয়। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিকবার হেরে চাপ আছে। সেই চাপে দলেও পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে। কেউই যে নিজেকে ঠিকমতো মেলে ধরতে পারছেন না। তবে ধীরে ধীরে নিজেদের অবস্থান যে নড়বড় হচ্ছে এ ভেবেই ক্রিকেটাররা ভাল খেলার চেষ্টা করবেন। আর সেই চেষ্টায় যদি সাকিব, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ, মোসাদ্দেক, লিটন, আফিফ, সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজ, নাঈম শেখরা ফর্ম দেখাতে পারেন; তাহলেই জিম্বাবুইয়েকে আবারও বধ করা যাবে। আর হারানো গেলেই ফাইনালে ওঠার টিকেট মিলে যাবে। বাংলাদেশ ও জিম্বাবুইয়ের মধ্যকার ফের লড়াইয়ে জয় আসুক সাকিবদেরই, সেই প্রত্যাশাই করা হচ্ছে।