বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
জ্যোৎ¯œার খোঁজে হাজারো পর্যটক হাওরে,মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকা জ্যোৎ¯œার ছায়া পড়েনি তার জলে। টাঙ্গুয়া হাওরে পূর্ণিমা দেখতে শুক্রবার তাহিরপুরে পদচারণা পরে ৫ সহস্রাধিক পর্যটকের। প্রত্যেকেরই উদ্দেশ্য এক হাওরে পূর্ণিমা দেখা। কিন্তু বাঁধ সাধে মেঘ। আকাশে ঘন কালো মেঘ থাকায় দিন ও রাতে প্রচুর বৃষ্টি হয়। মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকা রাতের চন্দ্রবাতীর আর দেখা মিলে না। তাই ঝলসানো রুটি না খেয়ে দিনমান বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কিছুটা হতাশ হয়ে হাওর থেকে ফিরেন পর্যটকরা। শুধু সেপ্টেম্বর মাসের পূর্ণিমাতে নয়, বিগত প্রতি মাসের পূর্ণিমার দিনগুলোতেও হাওরে পর্যটকদের ভিড় গেছে। একাধিক পর্যটক জানিয়েছেন হাওরে জ্যোৎ¯œা দেখার জন্য তারা গত আগষ্ট মাসের পূর্ণিমাতেও হাওরে এসেছেন কিন্তু মেঘলা আকাশ থাকায় তখনও চাঁদের দেখা পান নি।
তাহিরপুর উপজেলা সদর উজান তাহিরপুর গ্রামের প্রবীন আরশাদ আলী, তিনি বলেন, ছোট সময় ভাদ্রের পূর্ণিমাটা খুব উপভোগ করতাম। পরিষ্কার আকাশে ভাদ্রের চন্দনিটা খুব সুন্দর। জলে ছায়া পড়লে জল ঝিকমিক করে। শীতকালে কোয়াশা থাকায় সে সময় আলোটা এত ছড়ায় না বলেও তিনি জানান।
বাঙ্গাল ট্রাভেলার্স এর সদস্য তাহমিনা খাতুন বলেন, অনেকেই হাওরে আসেন জ্যোৎ¯œা দেখার জন্য। শুক্রবার রাতে আকাশ মেঘে ঢেকে থাকার কারণে চাঁদের আলোটা পাওয়া যায় নি।
কান্ট্রি ট্যুরিজম এডমিন সাদেকুর রহমান বাবলু বলেন, গত মাসের পূর্ণিমাতেও হাওরে এসেছি, এবারও এলাম কিন্তু মেঘের কারণে জ্যোৎ¯œার দেখা পেলাম না।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, শহরে বিদ্যুতের আলোয় চাঁদের আলোটা ঠিক বুঝা যায় না। তাই প্রকুতির এ আলোটা দেখতে পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে প্রতি মাসেই টাঙ্গুয়া হাওরে প্রচুর লোকজন আসেন।