মোগলাবাজারে মাদ্রাসার ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে শিক্ষকসহ ৪ জন আটক

29
যৌন হয়রানীর অভিযোগে শিক্ষক সহ আটক চার জন।

স্টাফ রিপোর্টার  :
দক্ষিণ সুরমা মোগলাবাজারের দাউদিয়া গৌছ উদ্দিন সিনিয়র মাদ্রাসার ষষ্ট শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে শিক্ষক মো. খালেদ আহমদ (২৮)-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শিক্ষক খালেদ মোগলাবাজার থানার চিছরাকান্দি এলাকার মো. জমির আলীর পুত্র।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মোগলাবাজার থানায় একটি মামলা (নং-০৭) দায়ের করেন একই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. রিয়াজ উদ্দিন। অভিযুক্ত শিক্ষক খালেদ আহমদকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ জুলাই দাউদিয়া গৌছ উদ্দিন সিনিয়র মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ছায়ফুল আহমদ চৌধুরীর বিদায় উপলক্ষ্যে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ মাদ্রাসার হলরুমে একটি বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করেন। উক্ত অনুষ্ঠান চলাকালে প্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রী বাড়ীতে যাওয়ার জন্য হল রুম থেকে বের হয়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে থাকে। এ সময় একই প্রতিষ্ঠানের জুনিয়র শিক্ষক মো. খালেদ আহমদ তাকে সিঁড়িতে একা পেয়ে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন এবং ষষ্ঠ শ্রেণীর ক্লাস রুমের সামনে নিয়ে যান। ওই স্থানের আশপাশে কোন লোকজন না থাকায় ছাত্রীকে জোরপূর্বক শ্রেণীকক্ষের ভিতরে নিয়ে যান তিনি। এ সময় ছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন ষ্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রানী করেন। এর আগেও এই শিক্ষক একই প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানী করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
তাছাড়া একই দিনে মোগলাবাজার থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সিআর-৭১/১৮ এর গ্রেফতারী পরোয়ানাভূক্ত আসামী মোগলাবাজার থানার কন্দিয়ারচর গ্রামের মতছিন আলীর পুত্র আমির আলী, জিআর ৭৪/১৪ এর গ্রেফতারী পয়োয়ানাভূক্ত আসামী একই থানার পূর্ণখলা গ্রামের মৃত জোয়াদ আলীর পুত্র আহাদ আলী এবং রেলওয়ে জিআর-০৫/১৮ এর গ্রেফতারী পরোয়ানাভূক্ত আসামী নগরীর গোটাটিকরের আব্দুর রহিমের পুত্র মোঃ খাইরুল আলাম। আসামিদেরকে গ্রেফতার আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।