ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে লাইসেন্স বিহীন, অনটেষ্ট ও পার্মিট নেই, হাইওয়ে রোডে চলাচল করতে পারবে না এমন অভিযোগে তিন দিনে সিএনজি-অটো-রিকশা, লেগুনা ও মোটরসাইকেল আটক করা হয়েছে। মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে এমন অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহা-সড়কের গোবিন্দগঞ্জ ও জাউয়াবাজার এলাকায় ড্রাইভিং লাইসেন্স, ইন্স্যুরেন্স ও রেজিষ্ট্রেশন বিহীন মোটর সাইকেল এবং যানবাহন হাইওয়ে রোডে চলাচলে নিষিদ্ধ ঘোষণা অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাইওয়ে রোডে ৭ সেপ্টেম্বর অভিযানে নামেন জেলা ও ট্রাফিক পুলিশ।
এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জে ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই নুর আলম বলেন, গত শনিবার অভিযান শুরু হলে সিএনজি অটো-রিক্সা ১৫টি, রবিবারে ১০টি ও সোমবারে সিএনজি অটো-রিক্সা ১১টি, লেগুনা ২টি ও মোটর সাইকেল ১টি আটক করে মামলা দিয়ে গাড়ী গুলো থানায় পাঠানো হয়েছে। ৭ দিনের মধ্যে তিনদিনে ৩৬টি সিএনজি অটো-রিক্সা, দু’টি লেগুনা ও একটি মোটর সাইকেলসহ মোট ৩৯টি যানবাহন আটক করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ সড়কে তিন চাকার গাড়ি চলাচলে নিষেধ রয়েছে। এছাড়া রেজিষ্ট্রেশন বিহীনসহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসব যানবাহন আটক করা হয়েছে। এ অভিযান আরো ৪দিন অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান। সুনামগঞ্জ জেলার প্রবেশদ্বার গোবিন্দগঞ্জে যানজট নিরসনে দায়িত্বে থাকা এটিএসআই মো. খলিলুর রহমান বলেন, অভিযান চলার কারণে অন্যান্য যে কোন সময়ের তুলনায় এখানে বর্তমানে যানজট নেই বললেই চলে। তিনি বলেন, দূর পাল্লার বাস, এ্যাম্বুলেন্স ও ভিআইপি বহরের যানবাহন, স্কুল কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকার লোকজন নিরাপদে চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। এ রকম যানজটমুক্ত পরিস্থিতি সব সময় তিনি কামনা করেন।
জাউয়াবাজারের ট্রাফিক পুলিশের টিআই নির্মল দেবনাথ বলেন, তিনদিনে তিনি ১০টি সিএনজি অটো-রিক্সা আটক করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি আরো বলেন, এসপির নির্দেশে তিনদিনে অভিযান করে জাউয়াবাজারের স্ট্যান্ডে থাকা প্রায় তিন শতাধিক ব্যাটারি চালিত টমটম ও ইজিবাইক যানবাহনগুলো সরিয়ে দিয়েছেন।