পিয়াস ড্রিংকিং ওয়াটার সহ দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

16
র‌্যাবের অভিযানে আটক মেয়াদ উত্তীর্ণ মালামাল।

স্টাফ রিপোর্টার :
খাদিমনগর ও শাহী ঈদগাহ এলাকায় মেয়াদ উত্তীর্ণ মালামাল রাখার দায়ে দুইটি প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯, সিপিসি-১, সিলেট ক্যাম্প ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের আভিযানিক দল এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে।
ওই প্রতিষ্ঠানগুলো পোড়া তেল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল ভোগ্যপণ্য। সেই পণ্য মাটিতে রেখে চলছিল প্যাকেটজাতকরণ। আর পানি বিক্রি করা প্রতিষ্ঠানে অতি মুনাফালোভীরা ফিল্টারিং ছাড়াই জারে ভর্তি করছিল।
র‌্যাব-৯ এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার খাদিমনগর ও শাহী ঈদগাহ এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে পিয়াস ড্রিংকিং ওয়াটারকে ১৫ হাজার টাকা ও দেশি ফুডকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (মেট্রো) মো. জাহাঙ্গির আলম বলেন, র‌্যাবের গোপন সংবাদে পরিচালিত এ অভিযানে পিয়াস ড্রিংকিংয়ে দেখা যায়, তাদের স্থাপন করা ফিল্টার দিয়ে অল্প অল্প পানি আসে। তাতে মাত্র কয়েকটি জারিকেন ভর্তি করা সম্ভব। কিন্তু তারা একের পর এক গাড়ি দিয়ে পানি সরবরাহ করে। তাতে অনুমেয়, তারা অন্য কোথাও থেকে জারিকেন ভর্তি করে। যে পানি বিশুদ্ধ না। এ কারণে ওই প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া দেশি ফুডে গিয়ে দেখা যায়, তারা পোড়া তেল দিয়ে ব্রেড-বিস্কুটসহ অন্য ভোগ্যপণ্য তৈরি করছিল। তৈরি খাবার মাটিতে রাখা অবস্থায় পাওয়া যায়। কিন্তু তৈরি সামগ্রী অন্তত মাটি থেকে এক ফুট উঁচুতে রাখার নিয়ম। এটা তারা মানেনি। তাতে তেলাপোকা-ইঁদুর এগুলো বিচরণ করতে পারে। পাশাপাশি তারা খাবারে ফ্লেভার ব্যবহার করছিল। এসব অপরাধে এই প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। যৌথ অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‌্যাব-৯ এর এএসপি সত্যজিৎ কুমার ঘোষ। অভিযানে মো. জাহাঙ্গির আলম ছাড়াও জাতীয় ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্ল্যাহ উপস্থিত ছিলেন। জরিমানাকৃত টাকা সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান করা হয়েছে বলে জানায় র‌্যাব।