অনিয়মের অভিযোগ ॥ তিন বিচারপতিকে বিচার কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ ॥ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতি আলোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন- এ্যাটর্নি জেনারেল

27

কাজিরবাজার ডেস্ক :
হাইকোর্টের তিন বিচারপতির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে তাদের বিচারকাজ থেকে সাময়িক বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পরিপ্রেক্ষিতে এই তিন বিচারপতির বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রীমকোর্ট প্রশাসন। হাইকোর্টের এ তিন বিচারপতি হলেন বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি একেএম জহিরুল হক এবং বিচারপতি কাজী রেজাউল হক। সুপ্রীমকোর্ট প্রশাসন ও এ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় সূত্রে এ খবর জানা গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তিন বিচারপতির বিচারকাজ থেকে বিরত থাকা নিয়ে নানা ধরনের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে সুপ্রীমকোর্ট অঙ্গনে। সুপ্রীমকোর্ট প্রশাসন থেকে শুরু করে সিনিয়র আইনজীবী পর্যন্ত কেউই মুখ খুলছিলেন না। সবাই বলেন এটি একটি ‘ক্রিটিক্যাল’ বিষয়।
সর্বশেষ বিকেলে সুপ্রীমকোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের মাননীয় তিনজন বিচারপতির বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধানের প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে তাদের বিচারকার্য থেকে বিরত থাকতে বলা হয় এবং পরবর্তীতে তারা ছুটি প্রার্থনা করেন। এদিকে এ্যাটর্নি জেনারেলসহ আইনজীবীগণ বলেছেন, বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি রক্ষা ও কলুষমুক্ত করতে বারের (আইনজীবী সমিতি) অধিকাংশ সদস্য দাবি করে আসছিলেন। বিচার বিভাগকে কলুষমুক্ত করতে যা যা করা দরকার তা তাদের করা উচিত। এ ধরনের পদক্ষেপ অনেক আগেই নেয়া উচিত ছিল। এ ধরনের ঘটনা (একসঙ্গে ৩ বিচারপতিকে বিচারকার্য থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত) আগে ঘটেনি। এটাই প্রথম।
বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী হাইকোর্টে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান ২০০২ সালের ২৯ আগষ্ট। আর স্থায়ী হন ২০০৪ সালের ২৯ জুলাই। বিচারপতি একেএম জহিরুল হক হাইকোর্টে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল। আর স্থায়ী হন ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল। বিচারপতি কাজী রেজাউল হক হাইকোর্টে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল। আর স্থায়ী হন ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল। এর আগে কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে ভিন্ন ধরনের অভিযোগ আসায় তারা পদত্যাগ করেছিলেন। যার মধ্যে রয়েছেন বিচারপতি লতিফুর রহমান। যিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন। সেই কথোপকথন একটি দৈনিকে প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি পদত্যাগ করেন। সার্টিফিকেট সংক্রান্ত বিষয়ে জালিয়াতির কারণে বিচারপতি ফায়েজীও পদত্যাগ করেন। এরপর একজন মহিলা বিচারপতি সহুদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে তিনিও পদত্যাগ করেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিচারপতি বদরুল হক বাচ্চুও পদত্যাগ করেন। সে সময় বিচারপতি এসকে সিনহাকে পদত্যাগের জন্য বঙ্গভবনে চা খাওয়ার দাওয়াত দিলেও তিনি সেখানে যাননি। এ ছাড়া সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা আপীল বিভাগের সাবেক বিচারপতি জয়নুল আবেদীন এর মামলা তদন্ত না করতে দুদকে চিঠি দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য তা বাতিল হয়ে যায়। আইনজীবীগণের অভিপ্রায় বিচারবিভাগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার স্বার্থে এই তিন বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, তিনি বিষয়টি জানেন না। জেনে পরবর্তীতে এ বিষয়ে কথা বলবেন। তিনি বলেন, ‘আমি অবগত নই এ কারণে যে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন এবং এটা রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির বিষয়। আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে আমাকে আগে অবগত হতে হবে।’ সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিষ্টার শফিক আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি ক্রিটিক্যাল। যখন তদন্ত চলছে সে কারণে তদন্তাধীন বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।
এদিকে এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আলোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত (তিন বিচারপতিকে বিচারকার্য থেকে বিরত রাখার) নিয়েছেন। আইনজীবীরা চান সকল বিচারপতি বিতর্কের উর্ধে থাকুন। আমরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছি। বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি রক্ষা ও কলুষমুক্ত করতে বারের (আইনজীবী সমিতি) অধিকাংশ সদস্য দাবি করে আসছিলেন। এখন ওই তিন বিচারপতির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান কাজ কিভাবে পরিচালিত হবে সে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্রপতি অনুসন্ধানের বিষয়ে ঠিক করবেন। বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি রক্ষায় তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন।
তবে এ ধরনের ঘটনা (একসঙ্গে ৩ বিচারপতিকে বিচারকার্য থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত ) আগে ঘটেনি বলেও মন্তব্য করেন মাহবুবে আলম। তিনি আরও বলেন, বিচার বিভাগকে সঠিক রাস্তায় রাখার প্রাথমিক দায়িত্ব রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির। বারের কেউ যেন খারাপ কথা না বলে (বিচারপতিদের নিয়ে) বা অভিযোগ না তুলতে পারে সে বিষয়টি তারা দেখবেন (রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি)। বিচার বিভাগকে কলুষমুক্ত করতে যা যা করা দরকার তা তাদের করা উচিত। এ ধরনের পদক্ষেপ অনেক আগেই নেয়া উচিত ছিল।
‘প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, তিনি নিজেই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি এ বিষয়ে আপীল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ জনসম্মুখে প্রকাশ করা বিচার বিভাগের ভাবমূর্তির জন্য শুভ হবে না।
সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারপতিদের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগের অনুসন্ধান হবে কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে মাহবুবে আলম বলেন, সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিল নিয়ে রিভিউ (রায় পুনর্বিবেচনা) ফাইল করে রেখেছি। তবে সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিল থাকলেও প্রধান বিচারপতি তার জুনিয়র তিনজন বিচারপতিকে নিয়ে এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতেন। তবে আইনের উর্ধে কোন মন্ত্রী, বিচারপতি বা সাধারণ মানুষ থাকতে পারেন না। এই পদক্ষেপের ফলে যারা নিজেদের সঠিক পথে পরিচালনা করছেন না তাদের কাছে একটি ইঙ্গিত (বার্তা) যাবে। সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিনউদ্দিন বলেন, রাষ্ট্রপতি নিয়োগ কর্মকর্তা। সুপ্রীমকোর্টের পরামর্শে রাষ্ট্রপতিই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। সুপ্রীমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেছেন, বিচারপতিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সংবিধান সম্মত উপায়ে নিষ্পত্তি কাম্য। এবং আনীত অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিল তাদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতিকে প্রস্তাব দেবেন।
সুপ্রীমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেছেন, এ সমস্ত ঘটনায় সুপ্রীমকোর্ট প্রশাসনওকে আরও কঠোর হওয়া উচিত। এ ধরনের পদক্ষেপ অনেক আগেই নেয়া উচিত ছিল। এর সঙ্গে কোন আইনজীবী যদি জড়িত থাকে তাদের বিষয়েও পদক্ষেপ নেয়া উচিত। যে তিন বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত। তারা ইচ্ছে করলে পদত্যাগ করতে পারেন। এর আগে বেশ কিছু বিচারপতির পদত্যাগ করেছেন। বিচারপতি লতিফুর রহমান বিচারপতি সহুদুর রহমান, বিচারপতি ফয়েজী। এ সমস্ত বিষয়ে সুপ্রীম জুজিডিয়াল কারউন্সিল করতে পারে। সর্বোপরি রাষ্ট্রপতিও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন। প্রসঙ্গত, গত ১৬ মে নিয়মবহির্ভূতভাবে নিম্ন আদালতের মামলায় হস্তক্ষেপ করে ডিক্রি পাল্টে দেয়ার অভিযোগ উঠেছিল হাইকোর্টের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহুরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চের বিরুদ্ধে। ন্যাশনাল ব্যাংকের ঋণ সংক্রান্ত এক রিট মামলায় অবৈধ হস্তক্ষেপ করে ডিক্রি জারির মাধ্যমে হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ রায় পাল্টে দেন বলে সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগে অভিযোগ তুলেছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপীল বেঞ্চ সংশ্লিষ্ট অর্থ ঋণ আদালতের (নিম্ন আদালত) মামলাটির সব ডিক্রি ও আদেশ বাতিল ঘোষণা করেছিলেন।
বিচারপতি জহিরুল হকের যত অনিয়ম : এদিকে বাউফিল থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, হাইকোটের বিচারপতি একেএম জহিরুল হককে দুর্নীতির অভিযোগে বৃহস্পতিবার বিচারিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়ার ঘটনায় তার নিজ এলাকা বাউফলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সুশীল সমাজের অনেকেই তার সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। কবরস্থানের জায়গা দখল, সরকারী স্বার্থ পরিপন্থী আদেশসহ নানা অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে দৈনিক জনকণ্ঠে ২০১২ সালের ২৯ ও ৩০ জুলাই যথাক্রমে বাউফলে বিচারপতির ছেলের নেতৃত্বে কবরস্থানের জায়গা দখলের অভিযোগ ও কবরস্থানের জায়গা দখল নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য শিরোনামে দুটি সংবাদও প্রকাশিত হয়েছিল।
একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, শিক্ষাজীবনে একাধিক তৃতীয় বিভাগ পাওয়া একএম জহিরুল হক পটুয়াখালী জজ কোর্ট থেকে তার ওকালতি ব্যবসা শুরু করেন। এরপর হাইকোর্টে ওকালতি করেন। তার ছেলে জোবায়দুল হক রাসেলের বদৌলতে তিনি ২০১২ সালে হাইকোর্টের বিচারক নিযুক্ত হন। বাউফলের নাজিরপুর ইউনিয়নের সুলতানাবাদ গ্রামে তার বাড়ি। বিচারক নিযুক্ত হওয়ার কয়েক দিন পর তার ছেলে জোবায়দুল হক রাসেলের বিরুদ্ধে হাসপাতাল রোড এলাকায় সরকারী কবরস্থানের জায়গা দখলের অভিযোগ ওঠে।
তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমান অভিযোগ করেন, ৬৬৭নং খতিয়ানের ৩৯ ও ৪০ দাগে মোট ২ একর ২১ শতাংশ জমি রয়েছে। এর মধ্যে ৩৯ দাগে ২২ শতাংশ জমি উপজেলা মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদকের নামে, ১৫ শতাংশ জমির মালিক হলেন বিচারপতি একেএম জহিরুল হক এবং বাকি জমির মালিক অন্যান্য ব্যক্তিরা। এর বাইরেও ৪০ দাগের মধ্যে কবরস্থানের ১৫ শতাংশ জমি রয়েছে। যা বিচারপতির ছেলে জোবায়দুল হক রাসেল দখল করে নেন।
অপরদিকে বাউফলে জাহাঙ্গীর হোসেন নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জাল জালিয়াতির মাধ্যমে পৌর শহরের ৪নং ওয়ার্ডের ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত ১০৬৬ দাগের ৭ শতাংশ, ১০৫৪ নং দাগের ১ শতাংশ জমি জনসাধারণের যাতায়াতের জন্য নির্ধারিত, এছাড়াও খাল ভরাট করে ৪ শতাংশ জমি এবং দেড় শতাংশ অর্পিত সম্পতি (‘ক’ তফসিলভুক্ত) দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের যাবতীয় কাজ চূড়ান্ত করেন। সরকারী জমি উদ্ধারের জন্য ওই সময় দৈনিক জনকণ্ঠ, দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক সংবাদ ও দৈনিক যুগান্তরের স্থানীয় ৪ সাংবাদিক জনস্বার্থে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করেন। এ প্রেক্ষিতে তদন্তে আবেদনের সত্যতা প্রমাণিত হলে, ইউএনও ওই জমিতে বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। এরপর এরপর জাহাঙ্গীর হোসেন নামের ওই ব্যবসায়ী হাইকোর্টে একেএম জহিরুল হক ও সালমা ইসলাম চৌধুরীর বেঞ্চে আপীল করেন। অভিযোগ রয়েছে, বিচারপতিকে ম্যানেজ করে আদেশ ওই ব্যবসায়ীর পক্ষে নেয়া হয়। মামলার নথি পর্যালোচনা করলেই অনিয়মের বিষয়টি প্রমাণিত হবে।
এছাড়াও পৌর শহরের এক বিএনপি নেতার ভগ্নিপতিকে জামিনের নামে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে বিচারপতি একেএম জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বহু অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর এখন এলাকার মানুষের মুখে মুখে প্রচার হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক ব্যক্তি বলেন, জহিরুল হক আইজীবী হিসেবে কখনই সুখ্যাতি অর্জন করতে পারেননি। সেখানে তাকে করা হয়েছে বিচারপতি। তার কাছে জাতি ভাল কি প্রত্যাশা করতে পারে।
বিচার বিভাগের অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে : বিচার বিভাগের আরও অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিষ্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি। খোকন বলেন, ‘কেবল তিন বিচারপতিই নন, আরও অনেক বিচারপতি এবং সুপ্রীমকোর্টের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে বিষয়টি প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সুপ্রীমকোর্টের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রকাশ্যে দুর্নীতি করেন। আইনজীবীরা তাদের কাছে প্রতিদিন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিচারপ্রার্থীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত ও বিচারাঙ্গনের ভাবমূর্তি রক্ষায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরী।’