অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আসেননি, তাই ভেঙ্গে গেল শিশুদের মন

15

জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুরে জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় আবদুস সামাদ আজাদ অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী ভাষণ, রচনা, কবিতা আবৃতি ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ১৫ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার আগ থেকেই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শতশত কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করে। এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে শেষ হয়ে যায়। এর মধ্যে প্রথম স্থান অধিকারী ২ জন শিক্ষার্থী মন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিবেন এবং বক্তব্য রাখবেন বলে বারবার অনুষ্ঠান পরিচালনা কারীরা মাইকে ঘোষণা করছেন। পরে রয়েছে আলোচনাসভা। জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম মাসুমের সভাপতিত্বে এবং শিক্ষক আলমগীর হোসেন ও শিক্ষিকা সালেহা পারভীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠান শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা নিজাম উদ্দিন জালালী ও গীতাপাঠ করেন সাগর দাস। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সালেহা আক্তার শান্তা, পলি বেগম মাফিয়া বেগম প্রমুখ। বেলা তখন সাড়ে ১২ টা। মন্ত্রী আসছেন তাই গাড়ির সাইরেং বাজছে। এ সময় বারবার মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে, মন্ত্রী অনুষ্ঠানে আসছেন, সবাই যার যার আসনে বসে পড়–ন। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখুন। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে শুরু হয় হৈচৈ। তারা মন্ত্রীর জন্য দীর্ঘ প্রায় আড়াই ঘন্টা ধরে অপেক্ষা করছে।
অবশেষে মন্ত্রী অনুষ্ঠানে আসলেন না। মুহূর্তেই থেমে গেল শিশুদের হৈচৈ। ভেঙে গেলে তাদের মন। তারা অনেক আশা করে এসেছিল। মন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিবে। ছবি তুলবে। এ ছবিটি হতে পারতো তাদের জন্য ইতিহাস কিংবা শ্রেষ্ঠ পাওনা। তবে জগন্নাথপুরে অন্যান্য অনুষ্ঠানে মন্ত্রী অংশ গ্রহণ করেছেন। শিশুদের অনুষ্ঠানে মাত্র এক মিনিট সময় দিয়ে গেলে শিশুরা খুশি হয়ে যেত বলে অভিভাবকদের মধ্যে অনেকে জানান। যদিও পরে মন্ত্রী ছাড়া অন্যান্য অতিথির নিয়ে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়েছে।