হবিগঞ্জে ২ হাজার বস্তা সরকারি চাল জব্দ, ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

10

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জে পাচারকালে প্রায় ২ হাজার বস্তা সরকরি চাল জব্দ করেছে জেলা প্রশাসন। বুধবার রাতে শহরের গরুর বাজার এলাকার একটি গুদাম থেকে এসব চাল জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে এ বিষয়ে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মর্জিনা আক্তারকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন জেলা খাদ্য কর্মকর্তা ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত)। বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে তদন্ত করে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কারণ এখন ভিজিএফ বিতরণের সময়। এ সময় অতিক্রম হলে দরিদ্র মানুষের মাঝে তা বিতরণ কষ্টকর হয়ে পড়বে।
জানা গেছে, ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ শ্লোগান লেখা খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির এ চাল বিভিন্ন ইউনিয়নে হতদরিদ্রদের মাঝে চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়ে থাকে। আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে হতদরিদ্রদের মধ্যে বিতরণের জন্য ভিজিএফ এর চাল সরকার থেকে বিশেষভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রত্যেকের মাঝে ১৫ কেজি করে বিতরণের কথা রয়েছে। আর ভিজিডি প্রত্যেকের মধ্যে ৩০ কেজি করে বিতরণের কথা।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইয়াছিন আরাফাত রানা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গরুর বাজার এলাকার সুরমা অটোরাইছ এন্ড ফ্লাওয়ার মিলে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মিলের গোদামে রাখা সরকারি ১ হাজার ৫০ বস্তা, একটি ট্রাকে ভর্তি ৮৬০ বস্তা এবং বিপুল পরিমান খোলা চাল জব্দ করা হয়। যা পাচারের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিল সরকারি বস্তা থেকে চালগুলো খুলে অন্য বস্তায় ভরা হচ্ছিল। খাদ্য অধিদপ্তরের সীল সম্বলিত প্রতিটি বস্তাই ৩০ কেজি ওজনের। এগুলো দরিদ্রদের মাঝে বিতরনের ভিজিডি এবং ভিজিএফ এর চাল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর সাথে যারাই জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার নয়নের বরাত দিয়ে জানান, চালগুলো বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে কেনা হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আনিছুর রহমানসহ সদর থানার পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।