মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুর পৌর সদরের সড়ক জুড়ে গড়ে উঠেছে অসংখ্য গাড়ির ষ্ট্যান্ড। সড়কের দুই পাশে গাড়িগুলো দাঁড় করিয়ে রাখায় সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। যদিও এসব যানজট নিরসনে প্রতিনিয়ত ট্রাফিক পুলিশ হিমশিম খাচ্ছে।
ছোট্ট একটি শহরের নাম জগন্নাথপুর পৌরসভা। গত কয়েক মাস আগেও পৌর সদরের জগন্নাথপুর বাজার এলাকার রাস্তাঘাট খুবই খারাপ ছিল। তবে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের আন্তরিক প্রচেষ্টায় জগন্নাথপুর পৌর সদরের ভেতরে উন্নতমানের আরসিসি সড়ক নির্মাণ করা হয়। সড়কটি নির্মাণ হওয়ার পর জনমনে স্বস্তি ফিরে আসলেও ভোগান্তি যেন মানুষের পিছু ছাড়তে চাইছে না। পুরো সড়ক জুড়ে গড়ে উঠেছে গাড়ির ষ্ট্যান্ড। সড়কের দুই পাশে যত্রতত্র ভাবে রাখা হচ্ছে গাড়ি। এতে যানজট লেগেই থাকে প্রতিদিন। যে কারণে পদে পদে জন ভোগান্তি বেড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জগন্নাথপুর পৌর সদরের পৌর পয়েন্ট, রাণীগঞ্জ রোড, পুলে মুখ, মাদ্রাসা পয়েন্ট ও উপজেলার কলকলিয়া বাজার পয়েন্ট এলাকায় গড়ে উঠেছে ইজিবাইক (টমটম), অটোরিকশা, সিএনজি, লেগুনা, পিকআপ সহ ছোট ও মধ্যম গাড়ির অস্থায়ী ষ্ট্যান্ড।
৫ আগষ্ট সোমবার সরজমিনের দেখা যায়, এসব ষ্ট্যান্ডের অধীনে সড়কের দুই পাশে শতশত গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। এছাড়া জগন্নাথপুর পৌর শহরের সিলেটী ও সুনামগঞ্জী ষ্ট্যান্ডের পাশে সড়ক জুড়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় মিনিবাস। যদিও তাদের নিজস্ব ষ্ট্যান্ড রয়েছে। অথচ অযথা সড়কে গাড়ি রেখে তারা যানজট সৃষ্টি করছেন বলে পথচারী ভুক্তভোগীরা জানান। তাছাড়া রাণীগঞ্জ রোডে অবস্থিত সিএনজি গুলোর নির্দিষ্ট ষ্ট্যান্ড থাকলেও দিনে ষ্ট্যান্ডে গাড়ি না রেখে সড়কের দুই পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর ট্রাফিক সার্জেন্ট নসু মিয়া বলেন, যানজটের প্রধান কারণ হচ্ছে সড়ক জুড়ে গড়ে উঠা অস্থায়ী ষ্ট্যান্ড। প্রতিদিন সড়কের উপরে লেগুনা, সিএনজি, ইজিবাইক, পিকআপ ও মিনিবাস দাঁড় করে রাখা হচ্ছে। এর মধ্যে সব থেকে বেশি হচ্ছে ইজিবাইক। যার জন্য যানজট লেগেই থাকে। তা সামাল দিতে গিয়ে ট্রাফিক পুলিশের হিমশিম খেতে হয়। তাই জগন্নাথপুর পৌর শহরের যানজট নিরসন করতে হলে সড়কের উপর থেকে এসব গাড়ির ষ্ট্যান্ড সরাতে হবে। এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইয়াসির আরাফাত বলেন, যানজট নিরসনে অচিরেই অভিযান চালানো হবে।