প্রতিষ্ঠার ১৪ বছরেও সরকারি করণ হয়নি ভরাউট বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

4

ভরাউট বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ৬নং লালাবাজার ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ভরাউট গ্রামে অবস্থিত। ২০০৫ সালে ভরাউট গ্রামবাসীর প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১ম শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ১৪০ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। ভরাউট গ্রামসহ এলাকার দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রী অত্র বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে আসছে। অত্র এলাকার (পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণে) প্রায় ২ কিলোমিটার এর মধ্যে কোন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। তাই এই বিদ্যালয়কেই এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেছে নিতে হয়। অথচ অত্র বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত আসবাবপত্রের কারণে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বিঘœ ঘটছে।
সিলেট নগরীর প্রবেশ দ্বার নামে খ্যাত দক্ষিণ সুরমার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশর্^স্থিত ভরাউট গ্রামে অবস্থিত এ বিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত কোন সরকারি অনুদান পায়নি। ফলে গ্রামের কতিপয় শিক্ষা সচেতন ব্যক্তিবর্গ এবং প্রবাসীদের সহযোগিতায় ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের একটি টিনসেড ভবন নির্মাণ ছাড়া আর কোন উন্নয়ন করা সম্ভব হয়নি। এমতাবস্থায় সীমানা প্রাচীর ছাড়া ও বিদ্যুৎবিহীন একটিমাত্র টিনসেড ভবনে ৬ জন শিক্ষককে শ্রেণী কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ গৌছ মিয়ার সার্বিক প্রচেষ্টায় তারই ভাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিক উদ্দিনের সহযোগিতায় শিক্ষাদানে কর্মরত শিক্ষকদের নামমাত্র বেতন প্রদান করা হচ্ছে। ফলে শিক্ষকদের চরম মানবেতর জীবন যাপন করা হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শাপলা বেগম বলেন, বিদ্যালয় জাতীয়করণ না হওয়ায় শিক্ষকদের অবস্থা করুণ ও নাজুক হয়ে পড়েছে। শিক্ষকদের জীবন মান উন্নয়নে দ্রুত সরকারি করণ হওয়া জরুরী। যদি সরকারি করণ হয় তাহলে শিক্ষকদের পাঠদানের স্পৃহা আরো বাড়বে। শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে শিক্ষা অর্জন করতে পারবে। ইতিমধ্যে বিদ্যালয়টি সরকারি করণের লক্ষ্যে বহুচেষ্টা করেও কোন সুফল লাভ করা সম্ভব হয়নি। ফলে বিদ্যালয় নিয়ে শিক্ষা সচেতন ব্যক্তিবর্গের চিন্তার কমতি নেই। কবে সরকারি করণ হবে এ ভাবনায় শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ এলাকাবাসী।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম আহমদ বলেন, ভরাউট গ্রামবাসী সহ এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় পরিচালিত বিদ্যালয়টি এ পর্যন্ত সরকারি কোনো সহযোগিতা পাওয়া সম্ভব হয়নি। ১ম শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত অধ্যয়নরত ১৪০ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদানে ব্যস্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের বেতন-ভাতা প্রদান সহ এর অবকাঠামোগত উন্নয়নে সরকারি সহযোগিতার প্রয়োজন। বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ হলে লেখাপড়ার মান বৃদ্ধি সহ অত্র এলাকায় শিক্ষার প্রসার লাভ করবে। তিনি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। (খবর সংবাদদাতার)