নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চরম জলাবদ্ধতা বাসা বাড়ি ও দোকানপাটে পানি

15

স্টাফ রিপোর্টার :
টানা বৃষ্টিপাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চরম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েক দিনের ঢানা বৃষ্টিতে সুরমা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় নগরীর বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধার পাশাপাশি বাসা-বাড়ি, রাস্তাঘাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। নদ-নদীগুলো বিভিন্ন পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নতুন নতুন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। গতকাল শনিবার দিনের প্রথমার্ধে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হলেও দুপুরের পর থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হয়।
মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আস্মিকভাবে ভারী বৃষ্টি ও উজানের পানি বেড়ে যাওয়ায় নগরীর কাজলশাহ, শাহজালাল উপশহর, তেররতন, যতরপুর, লামাপাড়া,মাছিমপুর, কাজিরবাজার, শেখঘাট ও নগরীর দক্ষিণ সুরমাসহ বেশ কিছু এলাকার নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে জলাবদ্ধার সৃষ্টি হয়ে রোগজীবাণুর শংকা দেখা দিয়েছে। এছাড়া অনেকস্থানে রাস্তা ও দোকানপাটে পানি উঠে যাওয়ায় ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চরম দুভোগে পড়েছেন নগরবাসী। সিলেটে বৃষ্টিপাত আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেইসঙ্গে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল বন্যার ভয়াবহতা সৃষ্টি করতে পারে বলেও ধারণা আবহাওয়াবিদদের।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেটের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের দেশের মধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে, সেটা তেমন কিছু নয়, সমস্যা উজানের বৃষ্টিপাতে। ভারতের মেঘালয়, মিজোরাম, মনিপুর এলাকায় প্রতিনিয়ত ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেইসঙ্গে আমাদের দেশেও গড়ে ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হচ্ছে। উজানের ঢল নেমে একের পর এক নদ নদীর পানি বাড়ছে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। তিনি বলেন, জুলাই মাসেই ৩৪৩ মিলিমিটার হয়েছে। এর আগে জুনে ৮০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সর্বশেষ গত শুক্রবার ১২ জুলাই সকাল থেকে গতকাল শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১১৪ মিলিমিটার এবং বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হলেও তা ১০০ ছাড়িয়ে যাবে। তাছাড়া অতিবৃষ্টির কারণে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে নগরবাসীকে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।