গোয়াইনঘাটে পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

22

গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা :
গোায়াইনঘাটে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আশা পাহাড়ী ঢলে নিম্নাঞ্চল প্ল¬াবিত হয়ে অধিকাংশ মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পরেছে, উপজেলা সদরের সাথে প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ও উপজেলার দুটি পাথর কোয়ারি বন্ধ রয়েছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি ঘড়ে পানি উঠার কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে শিক্ষার্থীসহ বন্যা কবলিত এলাকার সাধারণ মানুষের। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবাহিত রোগবালাই দেখা দিয়েছে। কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লা¬াবিত হয়েছে। এতে করে উপজেলার অধিকাংশ মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। অনেকের বসত ঘরে পানি উঠায় গবাদি পশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। আবার কাউকে তাদের গবাদি পশু নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় খোঁজতে দেখা গেছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ডুকে পরে এবং একাদিক বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীরা না আসতে পারায় বন্ধ রয়েছে উপজেলার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পিয়াইন ও সারী নদী দিয়ে আসা পাহাড়ি ঢলের কারনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলার নিম্নাঞ্চল গুলোতে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত উপজেলার পুর্ব জাফলং, আলীরগাঁও, রুস্তমপুর, ডৌবাড়ি, লেঙ্গুড়া, তোয়াকুল ও নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের রাস্তাঘাট ও বাড়ি ঘর পানিতে প্লাবিত হয়। এতে করে গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। যার ফলে উপজেলা সদরের সাথে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা এক রকম বিচ্ছিন্ন রয়েছে। অপরদিকে পাহাড়ী ঢলের তোড়ে উপজেলার নয়াগাঙ্গের পার ও বাউরবাগ হাওর গ্রামের নদীর তীরবর্তী বসত বাড়ি ভাঙ্গনের কবলে রয়েছে। পাশাপাশি এই এলাকার নদীর তীর সংরক্ষণ ও ফসলী জমি রক্ষায় বেড়িবাঁধ গুলোও রয়েছে হুমকির মুখে। এদিকে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিছনাকান্দি ও জাফলং এ দু‘টি পাথর কোয়ারির সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এই দুটি পাথর কোয়ারির সাথে সংশ্লিষ্ট প্রায় লক্ষাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ^জিত কুমার পাল জানান, উপজেলার ভিবিন্ন এলাকায় পানি বৃদ্ধির খবর পেয়ে সাথে সাথে ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। এবং উপজেলার প্রত্যকটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদেরকে বন্যা পরিস্থিতি প্রাথমিক ভাবে মোকাবেলা করে দ্রুত রিপোর্ট প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী ত্রাণ সহ প্রয়োজনীয় সব ধরণের সহায়তা প্রধানে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।