বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
আশুগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের এসএসসি উত্তীর্ণ ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনার পর এবার ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের পার্শ্ববর্তি মুফতিরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ উঠেছে গত বুধবার চৌধুরী গাঁও গ্রামের আবুল কাহার (২৮) নামের এক সন্তানের জনক সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক তাকে বাড়িতে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বখাটে আবুল কাহার চৌধুরীগাঁও গ্রামের মৃত মরম আলীর ছেলে। ঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় তার পিতা রিকশা চালক ইরান মিয়াসহ পরিবারের সদস্যরা তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। বর্তমানে ওই ছাত্রী ওসমানী হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে, ধর্ষণের ওই ঘটনাটিও ধামাচাাপা দিতে স্থানীয় মাতববররা উঠেপড়ে লেগেছেন বলে মেয়েটির পিতা ইরান মিয়া অভিযোগ করেছেন।
ইরান মিয়া জানান, দীর্ঘদিন থেকে তিনি চৌধুরীগাঁও গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুস শুকুরের বাড়িতে বসবাস করে আসছেন।বুধবার বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পর তার ঘরের পাশে থাকা টিউবওয়েলঘরে নিয়ে তার মেয়েকে ধর্ষণ করে আবুল কাহার। পরে তিনিসহ পরিবারের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়েটিকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। ঘটনার পর থেকে আবুল কাহার এলাকা থেকে পালিয়েগেছে বলেও জানান তিনি।
বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম এ প্রতিবেদককে বলেন, এ ঘটনাটিও তিনি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন।