জাহাঙ্গীর আলম খায়ের বিশ্বনাথ থেকে :
আমার বাবা খুব সরল সহজ ও ভালো মনের মানুষ ছিলেন। তারা (অভিযুক্তরা) আমার বাবাকে খুন করে ফিশারির পুকুরে ফেলে নির্মমভাবে মেরেছে। আমার বাবার সকল খুনিদের ফাঁিস চাই। গতকাল বুধবার বিেেকল দেওকলসের রাজার বাজারে অনুষ্ঠিত ওপেন হাউজডে’র সভায় হাউ-মাউ করে কেদে কেদে ওই কথাগুলো বলেন সম্প্রতি খুন হওয়া দক্ষিণ সৎপুরের নিহত আওয়ামী লীগ নেতা আহমদ আলীর অবুঝ ছেলে ইব্রাহিম আলী। এসময় তার কান্নায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফল ইসলাম, বিশেষ অতিথি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পংকি খানসহ উপস্থিত বিপুল সংখ্যক জনতাও তাদের চোখের পানি সামলাতে পারেন নি। তাদের সকলের চোখেই পানি টলটল করছিল। তার বক্তব্যের আগে এলাকাবসীর বক্তব্যেও ফাঁসির দাবি করা হয়।
অভিযুক্ত কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা জানিয়ে ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, কম সময়ের মধ্যেই আহমদ আলী খুনের রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। এরই মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকিদেরও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
থানার ওসি তদন্ত দুলাল আকন্দের সভাপতিত্বে ও সংগঠক মকবুল আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব পংকি খান, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রুনু কান্ত দে।
এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন নিহত আহমদ আলীর বড়ভাই সিকন্দর আলী, সাবেক ইউপি সদস্য মর্তুজ আলী মানিক, বর্তমান ইউপি সদস্য মতিউর রহমান কিরণ, গিয়াস উদ্দিন, জুনেদ আহমদ, জুয়েল আহমদ, রফিক মিয়া, লেবু মিয়া, আলমগীর হোসেন, নুরুজ্জামান, সুলতান আহমদ, নুরুল ইসলাম, ইলিয়াস আলী, আলা মিয়া, আবদুর রু ও লখন মিয়া।