কাজিরবাজার ডেস্ক :
বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার নামে সার্টিফিকেট বাণিজ্য বন্ধ হয়েছে। যেসকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রমাণিত হয়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়কে আদালতের আদেশ মোতাবেক বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ নিয়মিত তদারকি করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরুর দিনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নসহ দেশকে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্যেকটি প্রোগ্রামের জন্য মোট ক্রেডিট আওয়ারস ও সেমিস্টার পূর্ব থেকে নির্ধারণ করায় শিক্ষার নামে সার্টিফিকেট বাণিজ্য বন্ধ হয়েছে।
তিনি বলেন, কতিপয় অসাধু চক্রের যোগসাজসে পরিচালিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ করা হয়েছে এবং অননুমোদিত ক্যাম্পাসসমূহ বন্ধের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের অননুমোদিত ক্যাম্পাসসমূহের বিষয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীসহ সর্বসাধারণের জ্ঞাতার্থে সময়ে সময়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়ে থাকে। স্থায়ী ক্যাম্পাসে না যাওয়া পর্যন্ত ইউজিসি থেকে নতুন বিভাগ/প্রোগ্রাম/অনুষদ অনুমোদন না দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সরকারি দলের অপর সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকর দায়িতœ গ্রহণের পর পরই ২০০৯ সাল থেকে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সারাদেশে এক হাজার ৬২৪টি বেসরকারি শিক্ষ প্রতিষ্ঠান এমপিওভূক্ত করেছে। এর ফলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারীর কর্মসংস্থানসহ শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার আরও সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অবশিষ্ট শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান এমপিওভূক্তি করতে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সংসদ সদস্য লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সরকারি বরাদ্দ ৩ হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা, যার মধ্যে গবেষণা বাবদ বরাদ্দ ৫৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারি বরাদ্দ ৩ হাজার ৮৯০ কোটি টাকা, যার মধ্যে গবেষণা বাবদ বরাদ্দ ৬১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। অর্থাৎ মৌলিক গবেষণা খাতে বরাদ্দ মোট বরাদ্দের ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।