তাহিরপুর থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার (৮ জুন) বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের দুধের আউটা গ্রামের মাইজবাড়ী ও মড়ল বাড়ীর লোকজনের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত ১২ জনকে তাহিরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় সজিবুল (২৫), সূর্য রাজা, আল আমীন ও মোছা. ফেরদৌস আরা বেগম নামে ৪ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য আহতদের স্থানীয় বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দুধের আউটা গ্রামের মাইজবাড়ীর তাজুদ আলী, মল্লিক মিয়া ও মড়লবাড়ীর পেয়ার আলী, নুরুল হকের লোকজনের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল দুপুরে দুধের গ্রামের পিছনের সড়কে পেয়ার আলীর লোকজন প্রথমে তাজুদ আলীর পক্ষের আব্দুল হালিমকে মারপিট আহত করে। একইদিনে কিছুক্ষন পর বালিয়াঘাট নতুন বাজারে তাজুদ আলীর লোকজন পেয়ার আলীর পক্ষের সজল মিয়া নামে একজনকে মারপিট করে। এরই জের ধরে দুধের আউটা গ্রামে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘন্টাব্যাপি সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে উভয় পক্ষের গুরুতর আহতরা হলেন- সজিবুল (২৮), আকির হোসেন (১০), আল আমিন (২৫), সরুজ আলী (৩৫), নুর হোসেন (২৫) সনু মিয়া (৩৭), আবুল খায়ের (২৫), বাশার মিয়া (২২), আরিফ মিয়া (২৭), হাবিব মিয়া (৩০), মোছা. মণি আক্তার। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্ততি চলছে।