আগামী জাতীয় বাজেটকে সামনে রেখে সরকারের সম্ভাব্য প্রস্তাবিত বাজেট থেকে প্রায় দ্বিগুণ বিকল্প বাজেট উপস্থাপন করেছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি অনুষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় অনুষদের ডীন প্রফেসর ডক্টর জসিম উদ্দিন ১২ লক্ষ ৪০ হাজার ৯০ কোটি টাকার লিখিত বাজেট উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে পরিচালনা ব্যয় পাঁচ লক্ষ ৩৮ হাজার সাত শ চল্লি¬শ কোটি ও উন্নয়ন ব্যয় সাত লক্ষ এক হাজার তিন শ পঞ্চাশ কোটি টাকা সুপারিশ করা হয়েছে।
মোট রাজস্ব আয় দেখানো হয়েছে দশ লক্ষ দুই হাজার পাঁচশ দশ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রধান খাত দেখানো হয়েছে মূল্য ও সংযোজন করে, আয় ও মুনাফার করে, সম্পূরক করে, আমদানি শুল্ক কর।
এগ্রিকালচার ফ্যকাল্টির ডীন প্রফেসর ডক্টর আবুল কাশেম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর মতিউর রহমান হাওলাদার।
লিখিত বক্তব্যে প্রফেসর ডক্টর জসিম উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু দর্শনের ন্যায় বোধ, নীতিবোধ, মূল্যবোধ ও শ্রেয়াবোধে সিক্ত বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। ২০২০ সাল জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবর্ষে এই বাজেট হবে বঙ্গবন্ধু কন্যার নির্বাচনী একুশটি নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়েনের বাজেট। বিশেষ করে ‘গ্রাম হবে শহর’ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া।
তিনি বলেন, মুক্ত বাজার উন্নয়ন দর্শন সমাজের সর্বস্তরে বৈষম্য বেড়েই চলেছে। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন, কর্মসংস্থান এর অভাব, উগ্র সাম্প্রদায়িকতা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।
তিনি আরও বলেন, বিগত ত্রিশ বছর দরিদ্র মানুষের নিরঙ্কুশ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে চার কোটি ৫৫ লক্ষ। দরিদ্র জনসংখ্যার এই বৃদ্ধি জাতীয় উন্নয়ন ব্যর্থতারই বহিঃপ্রকাশ।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রযুক্তি, জনপ্রশাসন, পরিবহন যোগাযোগ, বিদ্যুৎ জ্বালানি স্বাস্থ্য, পল্লী উন্নয়ন, কৃষি, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, গৃহায়ন, শিল্প, বিনোদন, সংস্কৃতি, ধর্ম, সকল বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাজেট এর সুপারিশ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি মতিউর রহমান হাওলাদার বলেন, সামাজিক বৈষম্য রোধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। গোটা দেশের পুঁজি গোটি কয়েক মানুষের হাতে জিম্মি হয়ে যাচ্ছে। তাই সঠিক ভাবে বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে বৈষম্য নিরসন ও উন্নয়ন অগ্রগতির সমন্বয় করতে অর্থনীতি সমিতির এই উদ্যোগ খুব গুরুত্বপূর্ণ ও সমযয়োপযোগী।
অনুষ্ঠানে প্রস্তাবিত বিকল্প বাজেটের উপর উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন, এগ্রিকালচার ফ্যাকাল্টি ডীন প্রফেসর ডক্টর আবুল কাশেম, বায়ু ক্যামিষ্ট্রি ফ্যাকাল্টির প্রফেসর ডক্টর মেহেদি হাসান খান, কৃষি অর্থনীতি ও ব্যাংকিং ডিপার্টমেন্ট এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর জিবান কৃষ্ণ সাহা, সাংবাদিক এনামুল হক ও চৌধুরী দেলোওয়ার হোসেন জিলন। বিজ্ঞপ্তি