স্টাফ রিপোর্টার :
বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের বন্ধুয়া গ্রামে তাজ উদ্দিন হত্যা মামলায় এক যুবককে ফাঁসির (মৃত্যুদন্ড) আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে.এম. রাশেদুজ্জামান রাজা এ রায় ঘোষনা করেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী নুরুল ইসলাম (৩০) বিশ্বনাথ উপজেলার বন্ধুয়া গ্রামের আলতাব আলীর পুত্র। বর্তমানে আসামী নুরুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ২ আগস্ট রাত ৯টার দিকে একই গ্রামের তাজ উদ্দিনের (১৭) মোবাইল কেড়ে নেয় নুরুল ইসলাম। এ ঘটনায় এলাকার স্থানীয় মজর আলীর বাড়িতে শালিস বৈঠকে চোর সাব্যস্ত হন নুরুল ইসলাম। পরে এ ঘটনায় অভিযোগ তুলে নিতে তাজের মা তৈয়বুন্নেছাকে চাপ দেওয়া হয়। এর জেরে ৯ আগষ্ট দুপুরে মাছ ধরার সময় তাজকে ছুরিকাঘাত করেন নুরুল ইসলাম। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে বিকেলে মারা যায় তাজ। এ ঘটনায় তাজের মা তৈয়বুন্নেছা বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় নুরুলসহ ৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- নুরুল ইসলামের ভাই নজরুল ইসলাম একই এলাকার সিকন্দর আলীর পুত্র গেদবুল মিয়া, আলজাব আলীর পুত্র ফজর আলী ও মীরেরগাঁওয়ের মন্তাজ আলীর পুত্র রবাই মিয়া। দীর্ঘ তদন্ত শেষে এ ঘটনায় বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) ২০১৫ সালের ২৬ আগষ্ট একমাত্র নুরুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে এবং মামলার এজাহার থেকে অন্য আসামিদের নাম বাদ দিয়ে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এডিশনাল পিপি এডভোকেট শামসুল ইসলাম ও স্টেইট ডিফেন্স ছিলেন ফারজানা হাবিব চৌধুরী।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে ৪৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামী নুরুল ইসলামকে মৃত্যুদন্ডের রায় দেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ সঠিকভাবে মামলা প্রমাণ করতে সক্ষম হওয়ায় একজন মা তার একমাত্র ছেলের খুনের বিচার পেয়েছেন।