কাজিরবাজার ডেস্ক :
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সবার জন্য সমান সুযোগ চায় জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা)। অতীতের মতো ‘কোনো ব্যক্তিবিশেষের নিয়ন্ত্রণে’ যেন না যায় এই বাজার- এমন দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে সরকারের কাছে জমা দেওয়া সুপারিশে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছে বায়রা। গত রবিবার বায়রার পক্ষ থেকে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে লিখিত সুপারিশ জমা দেয়া হয়।
বায়রার সভাপতি বেনজীর আহমেদ স্বাক্ষরিত ওই আবেদনে বন্ধ বাজার খুলতে প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমেদের মালয়েশিয়া সফরকে স্বাগত জানানো হয়। সেই সঙ্গে, বাংলাদেশের জন্য অন্যতম বড় এই বাজারটি খুলতে পাঁচটি সুনির্দিষ্ট সুপারিশও করেছে তারা।
এর মধ্যে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বায়রার সব সদস্যের জন্য উন্মুক্ত রাখাসহ মন্ত্রণালয়ের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী অভিবাসন প্রক্রিয়াটি বায়রা পরিচালনা করতে চায়। কোনো ব্যক্তিবিশেষের প্রতিষ্ঠান যেন এটি পরিচালনা করতে না পারে, সে ব্যাপারেও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের মেডিকেল চেকআপের জন্য বায়রা ও বিএমইটির পক্ষ থেকে মেডিকেল সেন্টার নির্বাচন করে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
অভিবাসন ব্যয় নিয়ন্ত্রণে বায়রা, বিএমইটি ও মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় একটি শক্তিশালী নজরদারি ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথাও বলা হয়। এ ছাড়া মালয়েশিয়ায় অভিবাসন পুনরায় চালুর প্রক্রিয়ায় মন্ত্রণালয় ও বিএমইটির সঙ্গে বায়রা প্রতিনিধিকেও রাখার সুপারিশ করেছে জনশক্তি রপ্তানিকারকরা।
বায়রা সভাপতি বেনজীর আহমেদ ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘জনশক্তি রপ্তানিতে সরকারের যেকোনো ভালো উদ্যোগের পাশে বায়রা অতীতেও ছিল, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আমরা একে-অন্যের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। মালয়েশিয়ার বন্ধ শ্রমবাজারটি যেন খুব শিগগির উন্মুক্ত হয়, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। বায়রার সব সদস্য সমানভাবে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির সুযোগ পাবে বলে আমরা আশা করি।’
দেশের জনশক্তি রপ্তানির ৮০ শতাংশ যায় মধ্যপ্রাচ্যে। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জন্য অন্যতম বড় শ্রমবাজার। কিন্তু সৌদিতে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি, আরব আমিরাতে সীমাবদ্ধতা, মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানিতে অনিয়মসহ নানা কারণে জনশক্তি রপ্তানি কমে এসেছে।
অনিয়মের কারণে বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত গত বছর মালয়েশিয়াতে জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯২৭ জন। গত সেপ্টেম্বরের পর থেকে নতুন করে আর ভিসা দেয়নি মালয়েশিয়া। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে রপ্তানি হয়েছে ৩৮ হাজার ৮৬৫ জন। আর এ বছর ওই সময়ে গেছে ৫০ জনের কম।