একটি জাতি ও রাষ্ট্রকে সুন্দরভাবে বিনির্মাণ করতে শিক্ষার দরকার – ড. কামাল আহমদ চৌধুরী

21
সিলেট সেন্ট্রাল কলেজের উদ্যোগে সংবর্ধিত মাধ্যমিক উত্তীর্ণদের সাথে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. কামাল আহমদ চৌধুরী ও কলেজের অধ্যক্ষ লে. কর্ণেল (অব.) এম আতাউর রহমান পীর সহ কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।

সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশিওলজি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. কামাল আহমদ চৌধুরী বলেছেন, অন্ধকার দূর করতে যেমন আলোর প্রয়োজন, তেমনি একটি জাতি ও রাষ্ট্রকে সুন্দরভাবে বিনির্মান করতে শিক্ষার দরকার। শিক্ষাদানে শিক্ষকরাই মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। একজন শিক্ষকের প্রধান কাজ হচ্ছে শিক্ষার্থীদের সাথে ভালো যোগাযোগ স্থাপন করা। বন্ধু সূলভ আচরণ করে পড়ালেখার প্রতি উৎসাহ উদ্দীপনা জোগানো। একজন আদর্শবান শিক্ষার্থী হিসেবে গড়ে উঠতে নৈতিকতা, ন্যায়পরায়ণতা, নিয়মানুবর্তিতা, সততা ও থাকতে হবে। মিথ্যাকে ঘৃণা করে সততাকে লালন করে সমাজ, দেশ ও পরিবারের মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ রেখে পড়ালেখায় উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে গেলে ভবিষ্যত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।
সিলেট সেন্ট্রাল কলেজের উদ্যোগে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্যে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গতকাল শনিবার সিলেট জেলা পরিষদের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সেন্ট্রাল কলেজের অধ্যক্ষ লে. কর্ণেল (অব.) এম. আতাউর রহমান পীর। কলেজের প্রভাষক ফাতেমা বেগম ও প্রভাষক সাব্বির আহমদের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলেজের কো-অর্ডিনেটর মো. জাহিদ হোসাইন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট সেন্ট্রাল কলেজের গভর্ণিং বডির চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মিজান। কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুনের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, কলেজের গভর্ণিং বডির সদস্য মো. আক্কাস আলী, মো. শাহনেওয়াজ খান শাকিল, কলেজের প্রভাষক বাবুল আক্তার, সাইদুর রহমান রিপন, নাদিয়া আক্তার চৌধুরী, সায়েম শিকদার, কাজী রাসেল আহমদ, রমা খাঁন, তাহমিনা আক্তার শাকিলা, সামছুন্নাহার পিংকী, শিশির সরকার, মাছুম আহমদ, বিধান সিংহ, আতিকুর রহমান লিমন, জুবায়ের আহমদ সাঈদ, ঝুমুর চন্দ্র দাশ পিন্টু, সোরাইয়া খন্দকার, মোতসীন বিল্লাহ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. কামাল আহমদ চৌধুরী বলেন, শুধু পাশ করে সার্টিফিকেট পেলে হবে না, এর যথাযোগ্য মর্যাদা রক্ষা করতে হবে। তাই এই সংবর্ধনা শিক্ষার্থীদের ভিতরে আশার শক্তি বৃদ্ধি এবং পড়ালেখার প্রতি উৎসাহ বাড়াবে। নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মেধা, জ্ঞানকে বিভিন্নভাবে বিকশিত করে দেশ এবং জাতির সম্পদ হিসেবে রূপান্তরিত করে গড়ে তুলতে হবে। বিজ্ঞপ্তি