মাহবুব আহমদ খান বিয়ানীবাজার থেকে :
বিয়ানীবাজারে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। লোডশেডিংয়ের নামে প্রতি দুই ঘন্টায় অন্তত ১০ থেকে ১৫ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে। সকাল-সন্ধ্যা, নামাজ এমনকি ইফতার -সেহরির সময়টাও বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের কাছে কোন বিবেচ্য বিষয় নয়। ভুক্তভোগী মানুষের অভিযোগ, বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের ইচ্ছে-অনিচ্ছেয় চলেছে এখানের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। কয়েক লক্ষ গ্রাহকের দুর্ভোগের বিষয়টি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ মোটেই আমলে নিচ্ছেন না।
বিদ্যুৎ ঘন-ঘন আসা-যাওয়ার ঘটনায় বিয়ানীবাজারের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম অসন্তোষ ও উত্তেজনা। বিদ্যুতের এমন ভেল্কিবাজি একমাস ধরে চলে আসলেও প্রথম রোজা থেকে এর ভয়াবহতা মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পায়। সারাদিন ঘন-ঘন বিদ্যৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটলেও ইফতার ও সেহরির আগে ও পরে এর তীব্রতা বেড়ে যেতে দেখা গেছে।
বিয়ানীবাজারবাসী প্রচন্ড গরমে ঘন-ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে এখন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ঘন-ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিষয়টি তাৎক্ষণিক জানারও উপায় থাকে না। প্রায় সময়ই প্রকৌশলীসহ বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকে। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কত সময়ের মধ্যে আবার বিদ্যুৎ সচল হবে এ বিষয়টি জানারও কোন উপায় থাকে না গ্রাহকদের।
এদিকে, বিয়ানীবাজারে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনসাধারণের সাথে আলাপ করে জানা যায়, সারা বছর জুড়ে গাছপালা কাটা হলো রমজান মাসে বা গরমের সিজনে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য। অথচ সামান্য বাতাস বা বৃষ্টি শুরু হলেই সারারাত বা সারাদিনের জন্য বিদ্যুৎ উধাও। আবার কোন রকম ঝড়-তুফান ছাড়াও প্রায় সময় বিদ্যুৎ থাকে না।
এছাড়া শত কোটি টাকা ব্যয় করে উপজেলার চারখাইয়ে পল্লীবিদ্যুতের নতুন গ্রিড স্থাপন করা হলো সমস্ত বিয়ানীবাজার উপজেলার গ্রাহকদের সেবা দেয়ার জন্য। কিন্তু দুঃখের বিষয় গ্রাহকরা সেই সেবা থেকে বঞ্চিত।
তারা আরোও জানান, বিয়ানীবাজার উপজেলা থেকে পল্লীবিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সেবা পাচ্ছে জকিগঞ্জ, কানাইঘাট ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার মানুষ। আর বিয়ানীবাজার উপজেলাবাসীকেই ফেলে রাখা হয়েছে সেই জীর্ণশীর্ণ পুরানো ফেঞ্চুগঞ্জের লাইনে সংযুক্ত।
এ বিষয়ে পল্লীবিদ্যুৎ বিয়ানীবাজার জোনাল অফিসের ডিজিএম অভিলাষ চন্দ্র পালের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।