স্টাফ রিপোর্টার :
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে মামলার প্রধান আসামির হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বাদী পরিবার। মামলা তুলে নিতে আসামি কর্তৃক ভয়ভীতি প্রদর্শনের কারণে বাড়িছাড়া রয়েছে ওই পরিবারটি। গতকাল শনিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন উপজেলার কামারগাঁও গ্রামের স্বর্গীয় অতুল চন্দ্র দাসের স্ত্রী অঞ্জলী রানী দাস।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার ছেলে অসিত কুমার দাস দোয়ারাবাজারের মিতালী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য। একই সঙ্গে মান্নারগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা এবং সাংস্কৃতিক কর্মী। গত ১৪ এপ্রিল স্কুলের বৈশাখী মেলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য সংগীত শিল্পীর দায়িত্ব ছিল তার ওপর। ওইদিন স্কুলের অনুষ্ঠানে সিলেট থেকে শিল্পী নিয়ে যেতে দেরি হওয়া নিয়ে স্কুলের অফিস সহকারী সামছুদ্দিন আমার ছেলের সাথে শুরু থেকেই খারাপ আচরণ করে এবং অনুষ্ঠান শেষে সে তার দলবল নিয়ে আমার ছেলের উপর হামলা করে। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েন সবাই। আমার ছেলেকে আহত অবস্থায় ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলার ঘটনায় ২২ এপ্রিল দোয়ারাবাজার থানায় আমার আরেক ছেলে অনন্ত দাস বাদী হয়ে সামছুদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে। মামলা নং-১১ (৪)১৯। তিনি বলেন, মামলার পর আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে আসামিরা। তারা প্রতিনিয়ত মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। ফলে আমি বাড়িতে থাকতে পারছি না। ঘটনার পরদিন ১৫ এপ্রিল এলাকাবাসীর দাবির মুখে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সামছুুুদ্দিন আহমদকে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তমতে লিখিতভাবে সাময়িক বরখাস্ত করেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য বরখাস্তের কিছুদিনে মধ্যে ৩০ এপ্রিল আবার সেই ম্যানেজিং কমিটি তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়।
অঞ্জলি রাণী অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় আহমদ নগর (কাটাখালী) গ্রামের মৃত আবুল খয়েরের ছেলে মিতালী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী সামছুদ্দিন স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় সে স্কুলের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত। একজন অফিস সহকারী হয়ে সে প্রভাবের কারণে স্কুলের সবকিছুতে নাক গলায়। প্রভাশালীদের মদদে সে এসব করছে। তুচ্ছ ঘটনায় সে তার দলবল নিয়ে আমার ছেলের ওপর হামলা করে। তিনি বলেন, হামলার ঘটনায় মামলার করার পর থেকেই আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। গ্রামের বাড়ি ছেড়ে শহরে ছেলের বাসায় বসবাস করছি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি সামছুদ্দিনকে বরখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেন। তিনি জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদেরও হস্তক্ষেপ কামনা করেন।