কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কোন ধরনের প্রশাসনিক অনুমতি ব্যতিরেকে কানাইঘাট চরিপাড়া রহিমিয়া আলিম মাদ্রাসায় অবস্থিত অনুমানিক ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ৫টি গাছ কেটে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফিজ শরীফ উদ্দিন কর্তৃক ১০ হাজার টাকায় বিক্রির অভিযোগ তোলেছেন এলাকার সচেতন মহল। এছাড়া অধ্যক্ষ হাফিজ শরীফ উদ্দিন মাদ্রাসার একটি পাকা পুরনো কয়েকটি শ্রেণী কক্ষের ঘর ভাঙ্গার আধলা ইট সহ রাবিস নিজ বাড়ীর যাতায়াতের রাস্তায় ব্যবহার করেছেন। রহিমিয়া আলিম মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায় মাদ্রাসার সামনে অবস্থিত ৪ টি মেহগনি ও অর্জুন গাছের কাটা নীচ অংশের শিকড় বিদ্যমান রয়েছে। মাদ্রাসায় ৯০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি একাডেমিক ভবনের কাজ চলছে। নতুন একাডেমিক ভবনের স্থলে অবস্থিত পুরনো কয়েকটি শ্রেণী কক্ষের টিন শেডের পাকা ঘরটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। গাছ ও ভাঙ্গা শ্রেণী কক্ষের পুরাতন ইট ও আধলা, রাবিস সহ মালামাল বিক্রির ব্যাপারে অধ্যক্ষ হাফিজ শরীফ উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির রেজুলেশনের মাধ্যমে ৫টি ছোট মাঝারী গাছ নিলামে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। গাছের দাম ৪০/৪৫ হাজার টাকা মূল্যের হবে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করা কেন হলো ? জানতে চাহিলে তিনি বলেন উপযুক্ত মূল্যে বিক্রি হয়েছে। ভাঙ্গা শ্রেণী কক্ষের ইটের টুকরোগুলো বিক্রির ব্যাপারে জানতে চাহিলে তিনি বলেন ৩ শত টাকা মূল্যে ইঞ্জিন চালিত ট্রলি গাড়ী দিয়ে ৮/৯ গাড়ী বিক্রি করা হয়েছে। নিজ বাড়ীর রাস্তায় ইটের ভাঙ্গা টুকরাগুলো আমি কিনে নিয়ে আমার রাস্তায় ফেলেছি। অধ্যক্ষ নিলামের মাধ্যমে গাছ বিক্রির কথা জানালেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে নিলাম ছাড়াই জনৈক তোতা মিয়ার কাছে গাছগুলো বিক্রি করেছেন। অধ্যক্ষ হাফিজ শরীফ উদ্দিন গভর্নিং বডির রেজুলেশনের মাধ্যমে ৫টি গাছ বিক্রি ও ভাঙ্গা শ্রেণী কক্ষের ইটের আধলা, রাবিস বিক্রির ব্যাপারে গভর্ণিং বডির সভাপতি সহ অনেক সদস্য অবগত নয় বলে জানা গেছে। গভর্ণিং বডির সভাপতি মস্তাক আহমদ পলাশ জানিয়েছেন, আমি এ ব্যাপারে পুরোপুরি অবগত নয়। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।