কাজিরবাজার ডেস্ক :
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত পাঁচ বছর আগে বছরে দুই কোটি বেকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু তা হয়নি। চলমান সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীরা এই কর্মসংস্থান ইস্যুটিকে বার বার সামনে আনছেন। তবে এর মধ্যে ভারতের সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি বা সিএমআইই নামক একটি প্রতিষ্ঠান শুক্রবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়েছে, এপ্রিলের প্রথম তিন সপ্তাহে ভারতে বেকারত্ব আরও বেড়েছে যা গত আড়াই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে বেকারত্ব ৮ দশমিক চার শতাংশ ছাড়িয়েছে। এদিকে শনিবার ভারতের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, গত পাঁচ বছরে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পদ বেড়েছে ৫২ শতাংশ।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তর প্রদেশের বারানসিতে মনোনয়ন জমা দেন। তাতে তিনি যে পরিমাণ সম্পদের কথা উল্লেখ করেছেন তা গত ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে জমা দেয়া সম্পদ বিবরণীর চেয়ে ৫২ শতাংশ বেশি। ২০১৪ সালে মোদি তার সমস্ত সম্পদের পরিমাণ ৫১ লাখ রুপী উল্লেখ করেছিলেন। ২০১৯ সালের নির্বাচনে তিনি তার মোট সম্পদ লিখেছেন এক কোটি ৪১ লাখ রুপী। শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের হলফনামায় তিনি তার স্থাবর সম্পদের পরিমাণ লিখেছেন এক কোটি ১০ লাখ রুপী। মোদি তার আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার বেতন। আর এই বেতন ব্যাংকে জমা থাকার ফলে প্রাপ্য লভ্যাংশ। বছরে দু’কোটি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি মসনদে এলেও মোদির গত পাঁচ বছরে ভারতের কাজের ছবিটা মোটেই উজ্জ্বল নয়, তা বারবার উঠে এসেছে বিভিন্ন পরিসংখ্যানে। আবার এই কর্মসংস্থান নিয়েই ২০১৭-১৮ সালের জন্য এনএসএসওর এক সমীক্ষা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ উঠেছিল মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ২০১৭-১৮ সালে ভারতে বেকারত্ব ছিল ৬ দশমিক এক শতাংশ যা ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এনএসএসওর ওই প্রতিবেদন নিয়ে মোদি সরকার বারবার বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছে। তবে চলতি লোকসভা ভোটে নিজেদের ৪২ পাতার ইশতেহারে কর্মসংস্থান নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য করেনি বিজেপি। দেয়নি নতুন কোন প্রতিশ্রুতি।