সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের হাওরে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। আবহাওয়ার সাথে কৃষকের মনে নতুন শঙ্কা দেখা দিয়েছে ধান কাটার শ্রমিক। শ্রমিকের অভাবে অনেকে স্থানীয় লোক দিয়ে ধান কাটা শুরু করেছেন। তবে কৃষকরা জানিয়েছেন স্থানীয় লোক দিয়ে এতো ধান কাটা সম্ভব নয়। প্রতি বছরে দেশের ভিবিন্ন এলাকা থেকে ধান কাটার শ্রমিক আসলেও এবার তুলনামূলক ভাবে কম আসছে। ক্ষেতে পাকা ধান রেখে এখন কৃষকরা ধিকবিধিক ছুটাছুটি করছেন ধান কাটা শ্রমিকের জন্য।
সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর সুনামগঞ্জে বোর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ২ লক্ষ ১৭ হাজার ৬৩৫ হেক্টর জমি। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবছর বেশী জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। তাতে এ বছর ৮ লক্ষ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন থেকে বেড়ে ৯ লক্ষ ১০ হাজার মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায় আগামী ১৭ এপ্রিল থেকে লাগাতার বৃষ্টি শুরু হতে পারে। সে অনুযায়ী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে কৃষকদের জমি থেকে পাকা ধান কেটে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দিরাই উপজেলার কালিয়াকোটা হাওর পারের কৃষক মানিক মিয়া জানান, ক্ষেতও ধান পাখনা অখন পর্যন্ত বেপারি (ধানকাটার শ্রমিক) পাইছি না। পরতিদিন যেলা মেঘ অয় ধান তুলতা পারমু কিনা বুঝতাম পাররাম না। তার সাথে অনেকেই যোগ দিয়ে ধান কাটা শ্রমিকের অভাবের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন। তাদের দাবি যদি ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যায় তাহলে দ্রুত ধান তুলা সম্ভব নতুবা কিছুতেই সম্ভব নয়।
দিরাই-শাল্লার হাওরের বাঁধের কাজের বিষয়ে কৃষকদের অভিযোগ শুরু থেকেই। তারা মনে করেন। যে ভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, একনাগারে দুই তিন দিন বৃষ্টি হলে অনেক বাঁধই ভেঙ্গে যাবে। বিশেষ করে দিরাই উপজেলার তাড়াল ও জগদল ইউনিয়ন এবং শাল্লা উপজেলার বাঁধগুলো নিয়ে সন্দিহান আছেন কৃষকরা।
কৃষক নেতা কাজী নুরুল আজিজ চৌধুরী বলেন, দেশ এখন পহেলা বৈশাখ বরণের জন্য অস্থির কিন্তু হাওরের কৃষকরা তাদের পাকা ধান নিয়ে অস্থির। তিনি প্রশাসনের কাছে দাবি জানান, হাওরের কৃষকের ফসল ঘরে তুলতে বাঁধের কাজে যেভাবে প্রশাসন তদারকি করছেন ধান কাটার শ্রমিক এর ব্যাপারেও তদারকি করা প্রয়োজন।