কালবৈশাখী ঝড়ে কমলগঞ্জে অর্ধশতাধিক ঘর বিধ্বস্ত

11

পিন্টু দেবনাথ কমলগঞ্জ থেকে :
বৈশাখ শুরু না হতেই মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ওপর দিয়ে দু’দফা কাল বৈশাখী আঘাত হেনেছে। আর কালবৈশাখীর এ আঘাতে গাছ পালা ভেঙ্গে পড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দমকা হাওয়া সহ প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে কমলগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকা সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের গাছপালা উপড়ে পড়ে প্রায় অর্ধশতাধিক কাঁচা ঘর বাড়ী আংশিক বিধ্বস্ত সহ বিদ্যুতের তার ছিড়ে ফেলে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় কমলগঞ্জ পৌরসভার কুমারপাড়া গ্রামের রামাকান্ত পালের ছেলে চঞ্চল পাল (৩৬) ধানি জমিতে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে আহত হয়েছে। সে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মিছিলে যোগ দিয়েছে গ্রামীণ ফোন নেটওয়ার্কটিও। গ্রামীণফোন এর নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকায় গ্রাহকরা বিভ্রান্তিতে পড়েছেন। গ্রামীণ ফোনের নের্টওয়ার্ক না থাকার কারণে ব্যাংক গুলোতে স্বাভাবিক লেন-দেন কার্যক্রমে বিঘœ ঘটছে। যার দরুণ গ্রাহকরা দুর্ভোগের স্বীকার হন। কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জুয়েল আহমদ জানান, পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে ৩০/৩৫টি বসতঘর ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত দু’দিন আগে পহেলা এপ্রিলের বিকালে হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রায় ২৮ ঘন্টা কমলগঞ্জ উপজেলার সরকারী বেসরকারী অফিস, এইচএসসি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ বিদ্যুৎ বিভ্রান্তির কবলে পড়েছিল।
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের ঘাম ঝরানো পরিশ্রমে গত মঙ্গলবার বিকালে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হলেও এদিন রাতে হওয়া ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে বৈদ্যুতিক খুঁটিসহ ৩৩ কেভি লাইনটি। এছাড়াও গাছ উপড়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকায় বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে পড়েছে দুর্ভোগে পড়েছে কমলগঞ্জবাসী। কমলগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মোবারক হোসেন জানান, ঝড়ের কারণে বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর ১ টায় ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন মেরামত করা সম্পন্ন করা হলে ও বিভিন্ন স্থানে লাইন ছিড়ে পড়ে থাকার কারনে নিরাপত্তা জনিত কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।