১ এপ্রিল সোমবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক, সিলেট চেম্বার ও বৃটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের নেতৃবৃন্দের মধ্যে এক ত্রি-পক্ষীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ (পিপিপি) এর আওতায় সিলেটকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে বিদ্যমান সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, সিলেট প্রবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল হওয়ায় এখানকার বিভিন্ন অর্থনৈতিক খাতে প্রবাসী বিনিয়োগের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে পর্যটন খাতে প্রবাসীরা বিনিয়োগ করে অত্যন্ত লাভবান হতে পারেন। বর্তমান সরকার প্রবাসীদের জন্য সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ (পিপিপি) এর আওতায় সিলেটের রাতারগুল, বিছনাকান্দি ও ভোলাগঞ্জের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা গেলে তা পর্যটন খাতে সিলেট কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে। সিলেট চেম্বারের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ বলেন, আমরা সিলেট চেম্বারের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ সিলেটের পর্যটন খাতের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। সিলেটের পর্যটন স্পটগুলোর সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে আমরা বিভিন্ন সভা-সেমিনারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানিয়ে আসছি। এক্ষেত্রে প্রবাসীরা এগিয়ে এলে তা সরকারের জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে। প্রকৃতিকন্যা সিলেট বাস্তবায়ন করতে হলে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে তিনি সিলেট চেম্বারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। বৃটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধিদলের টিম লিডার বশির আহমদ বলেন, সিলেটের প্রবাসীরা দেশে বিনিয়োগে অত্যন্ত আগ্রহী। ইতোমধ্যেই প্রবাসীদের উদ্যোগে সিলেটে কয়েকটি রিসোর্ট ও হোটেল স্থাপিত হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়গুলোতে ওয়ানস্টপ সার্ভিস পেলে প্রবাসীরা দেশে বিনিয়োগে আরো বেশী আগ্রহী হবেন। সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বারের সহ সভাপতি মোঃ এমদাদ হোসেন, বেঙ্গল ডাচ ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর জি. আর. চৌধুরী ও এফআইসি ইকোনমিক জোনের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম চৌধুরী। বিজ্ঞপ্তি