স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমার তেমুখী বাইপাস এলাকা থেকে মদন মোহন কলেজের এক শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তেলিরাই নামক স্থান থেকে এ লাশটি উদ্ধার করা হয়। এর প্রতিবাদে দুপুরে ক্যম্পাসের সামনে প্রতিবাদ করেছে কলেজের শিক্ষার্থীরা ও ছাত্রলীগ। এ সময় তারা লামাবাজার এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে।
নিহত মো. সাইফুর রহমান (২৯) মদন মোহন কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক এবং গোয়াইনঘাটের তোয়াকুল কলেজে খন্ডকালিন শিক্ষক ছিলেন। তিনি গোয়াইনঘাট উপজেলার ফলতইল সগাম গ্রামের মো. ইউসুব আলীর পুত্র। বর্তমানে তিনি নগরীর টিলাগড় জমিদারবাড়ির একটি মেসে থাকতেন।
সূত্র জানায়, গত শনিবার সকাল ১১টার দিকে মেস থেকে বের হন সাইফুর রহমান। এরপর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। রাতেও তিনি মেসে ফেরেননি। পরে তার আত্মীয়রা মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। গতকাল রবিবার সকালে দক্ষিণ সুরমার তেলিরাই এলাকায় তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।
এ বিষয়ে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল জানান, তেমুখী বাইপাস তেলিরাই থেকে মদন মোহন কলেজের শিক্ষক সাইফুরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। পরে বিকেলে ময়না তদন্ত শেষে নিহতের লাশ তার আত্মীয় স্বজনের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। তিনি বলেন, লাশের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে গলায় ফাঁস দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মো: জেদান আল মুসা।
এদিকে, কলেজ শিক্ষক হত্যার প্রতিবাদে দুপুরে ক্যম্পাসের সামনে প্রতিবাদ করে মদন মোহন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা লামাবাজার এলাকায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে। পরে কোতোয়ালী থানার সহকারী কমিশনার মো. ইসমাইল ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সর্বানী অর্জুন সেখানে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন। এছাড়া কলেজ শিক্ষক সাইফুর ‘হত্যার’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে মদন মোহন কলেজ ছাত্রলীগ। কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি এ.কে.এম সানির ও সাধারণ সম্পাদক মিফতাউল হোসেনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কলেজ প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভকারী ছাত্রনেতারা সাইফুর হত্যায় সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি করেন।