কাজিরবাজার ডেস্ক :
ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে বন্দুকধারীর হামলায় নিহতদের স্মরণে জাতীয়ভাবে স্মরণসভা করবে নিউজিল্যান্ড। আগামী ২৯ মার্চ শুক্রবার এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে বলে রবিবার জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। গত ১৫ মার্চ অস্ট্রেলীয় এক শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদীর হামলায় ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে ৫০ মুসলিম নিহত হন। এর দুই সপ্তাহ পর আন্তধর্মীয় এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। -এএফপি ও গার্ডিয়ান
প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘জাতীয় এ স্মরণসভা ক্যান্টাব্রিয়ান্স (ক্রাইস্টচার্চ এলাকার বাসিন্দা), সকল নিউজিল্যান্ডবাসী এবং বিশ্বের সকল লোককে সমবেত হয়ে নারকীয় হামলায় নিহতদের সম্মান জানানোর সুযোগ করে দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ক্রাইস্টচার্চে হামলার পর দেশজুড়ে শোক ও ভালবাসা বিরাজ করছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই স্মরণসভা আরও একবার দেখিয়ে দেবে যে, নিউজিল্যান্ডবাসী সমব্যথী, সহমর্মী এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ। আর আমরা এসব মূল্যবোধ সুরক্ষা করব। এদিকে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে নির্বিচারে গুলিবর্ষণকারীর ইশতেহার নিষিদ্ধ করেছে সেন্সর। দেশটির প্রধান সেন্সর ডেভিড শ্যাঙ্কস বলেছেন, হত্যা ও সন্ত্রাসবাদে উৎসাহিত করতে ওই ইশতেহার প্রস্তুত করা হয়েছিল। এদিকে নিউজিল্যান্ডের এক হাজারেরও বেশি নাগরিক অস্ত্র জমা দেয়ার জন্য নাম নিবন্ধন করেছেন। ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলা চালিয়ে ৫০ মুসলিমকে হত্যায় জড়িত ওই ব্যক্তির শেয়ার করা ইশতেহার নিষিদ্ধ করা হয়। প্রধান সেন্সর ডেভিড শ্যাঙ্কস হামলাকারীর তথাকথিত ইশতেহারকে অগ্রহণযোগ্য বলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন। কারও কাছে যদি ওই ইশতেহার থাকে, তবে তা ধ্বংস করার আহ্বান জানান। এদিকে এ্যাসল্ট রাইফেলস ও সামরিক ধরনের আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিষিদ্ধ করার পর নিউজিল্যান্ডের এক হাজারেরও বেশি নাগরিক অস্ত্র জমা দেয়ার জন্য নাম নিবন্ধন করেছে।
ইশতেহার নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর ডেভিড শ্যাঙ্কস বলেন, ঘৃণামূলক বক্তব্য যা অনেক দক্ষিণপন্থী লোকও প্রত্যাখ্যান করতে পারেন এবং এ ধরনের প্রকাশনা যা আরও হত্যাকান্ড ও সন্ত্রাসবাদে উৎসাহিত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে তার মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এটা প্রকাশ করার আইনগত অধিকার রয়েছে। তিনি বলেন, ওই নথি নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীর লোকের বিরুদ্ধে হত্যা, সন্ত্রাস-সহিংসতা উস্কে দেয়া, উৎসাহ দেয়া ও সঠিক বলে প্রচার করার সীমা অতিক্রম করেছে।