সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জয়নাল আবেদীন (৫০)কে কুপিয়ে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মোঃ মুসলিম উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের দোকান কর্মচারীসহ সন্দেহভাজন ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচন পরবর্তী আটককৃতদের সাথে রাজনৈতিক মতবিরোধকে কেন্দ্র করেই এই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে তাদের ধারণা। তারা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় নিহত জয়নাল আবেদীন তার গ্রামের পাশে নিজ দোকানে ঘরের জন্য প্রয়োজনীয় পন্য নিতে আসলেও সে রাতে আর বাড়ি ফিরে যায়নি। দুবৃত্তরা রাতে মাদক সেবক করে তাকে নিজ দোকানের সামনে থেকে তুলে নিয়ে ধোলাইপাড় ত্রিমুখী রাস্তার পাশে দাড়াঁলো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে রাস্তায় ফেলে যায়।
মঙ্গলবার ভোরে ধোলাইপার ত্রিমুখী রাস্তার পাশে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ বরকতুল্লাহ খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ হায়াতুনবী ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শহীদুল্লাহ’র নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেন এবং স্বজনসহ স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলেন এবং আলামত সংগ্রহ করেন।
এ ঘটনা আটককৃতরা হলেন জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে মোঃ সেলিম মিয়া (২৬), মোঃ ফেরদৌস মিয়ার ছেলে মোঃ সাগর মিয়া (১৭), ডাঃ মোতালিব এর ছেলে শাহিন শাহ (৪০) ও নিহতের কর্মচারী জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার মোঃ রবি মিয়া (২৫)।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ বরকতুল্লাহ খান হত্যাকান্ডের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এই ঘটনায় সন্দেহভাজন ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।