জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদের ফলাফল স্থগিত ও পুন:গণননার আবেদন করেছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা কবির আহমদ। তিনি ১৯ মার্চ মঙ্গলবার সিলেট জেলা রিটার্নিং অফিসার বরাবারে লিখিতভাবে এ দাবি জানান।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৮ মার্চ সোমবার অনুষ্ঠিত জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস-চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে চশমা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। নির্বাচনের দিন মোট ৪৫টি ভোট সেন্টারে আমার এজেন্ট ও অন্যান্য সূত্র মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায় আমি সর্বমোট প্রায় ১৪,০৭০ ভোট এবং আমার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বশির উদ্দিন প্রায় ১১,৪২০ ভোট পান। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বশির উদ্দিন মাইক প্রতীকের চাইতে আমি চশমা নিয়ে ২৬৫০ ভোট বেশী পেয়ে বিজয় লাভ করি এবং উক্ত সংবাদ উপজেলার সর্বত্র এমনকি দৈনিক পত্রিকা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। বিভিন্ন মহল হতে অভিনন্দন বার্তাও আসতে থাকে। এমতাবস্থায় উপজেলা সদরে আমাকে পরাজিত দেখানোর নানা ষড়যন্ত্র চলছে মর্মে সংবাদ পেয়ে আমি, আমার সমর্থক ও শুভাকাংখীগণসহ উপজেলা সদরে রাত অনুমান ৯টায় উপস্থিত হই। কিন্তু আমাকে নির্বাচনী কন্ট্রোল রুমে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এতে আমার আশংকা আরোও ঘনিভূত হতে থাকে। এর পর রাত সাড়ে ১০টায় নর্বাচনী কন্ট্রোল রোম হতে ষড়যন্ত্র ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ১৪২ ভোটের ব্যবধান দেখিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বশির উদ্দিনকে বিজয়ী হিসাবে ঘোষণা করলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল স্থগিত ও ভোট পুন:গণনার জোর দাবী জানাই। কিন্তু আমাদের দাবী আমলে না নিয়ে উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকে। যা অন্যায়, ন্যায় পরিপন্থী এবং তঞ্চকতামূলক বটে। এ পক্ষপাতমূলক ফলাফল ঘোষণার কারণে আমার শুভাকাঙ্খী ও সমর্থকগণ মারাত্মকভাবে মর্মাহত। আমি ব্যক্তিগতভাবে চরম ও অপূরণীয় ক্ষতি এবং মানহানির সম্মুখীন হয়েছি। এমতাবস্থায় ন্যায় বিচার ও মানবাধিকার রক্ষার স্বার্থে জৈন্তাপুর উপজেলার ভাইস-চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদের ফলাফল স্থগিত ও ভোট পুন:গণনার দাবি করছি।