কাজিরবাজার ডেস্ক :
দ্বিতীয় দফায় ১১৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণের আগে বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া চারজন ওসিকে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন এই তথ্য। রবিবার বিকালে তিনি নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ইসি সচিব জানান, নির্বাচনে পক্ষপাত ও অনিয়মের অভিযোগে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া এবং গাইবান্ধার ফুলছড়ি থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
হেলালুদ্দীন জানান, বিভিন্ন অভিযোগ ওঠায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জ, বগুড়ার শিবগঞ্জ, নওগাঁর মান্দা ও বান্দরবানের আলীকদমের ওসিকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাদের জায়গায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওসিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রসঙ্গে সচিব বলেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর আমরা তদন্ত করেছি। সেখানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সোমবার পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৬ জেলার ১১৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার মধ্যরাত থেকে সব ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
গত ১০ মার্চ প্রথম ধাপে ৭৮ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে রাজপথের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বর্জন করায় ভোটে জনগণের আগ্রহ ছিল কম। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান হন ২৮ জন। সেই নির্বাচনে ভোট পড়ে ৪৩ শতাংশ।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি ১৮ মার্চ ভোটের দিন রেখে ১২৯ উপজেলার তফসিল ঘোষণা করে ইসি। একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ছয় উপজেলায় ভোটের দরকার পড়ছে না। আরও ছয় উপজেলার ভোট পিছিয়েছে ইসি। আদালতের নির্দেশে গোবিন্দগঞ্জের নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। এজন্য ১৮ মার্চ ১১৬ উপজেলায় ভোট হবে।
দ্বিতীয় ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের মধ্যে রয়েছেন ২৩ জন চেয়ারম্যান, ১৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ১২ জন নারী ভাইস চেয়ারম্যান।
ইসির তথ্য অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপে লড়ছেন এক হাজার ৩১০ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন ৩৭৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৩৯ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৯৪ জন। এসব উপজেলায় মোট ভোটকেন্দ্র ৭০৩৯টি, ভোটার এক কোটি ৭৯ লাখ নয় হাজার ছয়জন।
আগামী ২৪ মার্চ তৃতীয় ধাপের, ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপের ভোট হবে এবং পঞ্চম ও শেষ ধাপের ভোট হবে ১৮ জুন।