স্টাফ রিপোর্টার :
২০১৬ সালের ১৪ মার্চ নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা, বাড়িঘর লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে হেযবুত তওহীদ। শনিবার দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হেযবুত তওহীদ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি মো. মানিক মিয়া।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, তিন বছর আগে সোনাইমুড়িতে অপপ্রচার চালিয়ে হেযবুত তওহীদের এমামের বাড়িতে আক্রমণ করা হয়। আক্রমণকারীরা সকাল থেকে স্থানীয় কয়েকটি মসজিদের মাইকে বলতে থাকে যে, ‘গির্জা ভাঙ্গো খ্রিস্টান মারো।’ তারা হেযবুত তওহীদের নির্মাণাধীন মসজিদটিকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। এ সময় হেযবুত তওহীদের কর্মীরা হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হন। হামলাকারীরা মো. সোলায়মান খোকন ও ইব্রাহীম রুবেল নামে হেযবুত তওহীদের দুজন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করে। হত্যার পর তাদের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আহত অবরুদ্ধ হেযবুত তওহীদের কর্মীদেরকে পুলিশ যখন উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়িতে তোলে, তখন তাদেরকে গাড়ি থেকে নামিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামরা চালানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযো করে বলা হয়, হেযবুত তওহীদের কর্মীরা আক্রমণের শিকার হয়েও হামরার ঘটনায় পুলিশ তাদেরকে আসামি করে। অথচ হামলাকারীদের মধ্যে অনেকেই প্রকাশ্যে দাপটের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু ওয়ারেন্ট থাকা স্বত্বেও পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করছে না।
সংবাদ সম্মেলনে হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে সোনাইমুড়ী হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবি করা হয়। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হেযবুত তওহীদের সদস্যদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আজমল হোসাইন।