সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের পুলিশ ক্যাম্প এর ইনচার্জ মো: ওমর ফারুক মহানুভবতায় স্বাভাবিক জীবন ও পরিবারের সন্ধান ফিরে পেয়েছেন আব্দুল মতিন। আর স্থাপন করলেন মানবসেবার এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। নিজেকে যেন উৎসর্গ করলেন মানবতার কল্যাণে।
পথযাত্রী হয়েও পুলিশ সদস্যদের ভালোবাসায় অসহায় ব্যক্তি এখন স্বজনদের সাথে দিন কাটাচ্ছেন অনেকটা স্বাচ্ছন্দে। কুমিল্লা জেলা গবিন্দপুর উপজেলার বরিচংগ গ্রামের আব্দুল হাসিম এর ছেলে আব্দুল মতিন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারী রাতে অচেতন অবস্থায় সিলেট দক্ষিণ সুরমা এলাকায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে সিএনজির চালক মোহামাদ আলী। পরে ভর্তি করা হয় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ২৬নং ওয়ার্ডে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের মতিনের সফল চিকিৎসা করেন। প্রয়োজন দেখা দিলে মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্প অফিসার ইনচার্জ, মো: ওমর ফারুক।
এ সময় মতিনের কোনো পরিচয় না পাওয়া পুলিশ ক্যাম্প অফিসার ইনচাজ তার চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করে। গত ৩ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা গ্রহণের পর অনেক স্বাভাবিক হয়ে ওঠলে মতিনের নিজের পরিচয় ও ঠিকানা জানান। তার দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী যোগাযোগ করা হলে মতিনের স্বজনদের সাথে। রবিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী মতিনের ছোট ভাই সাইদুল ইসলাম ও তার শাশুড়ি মা নফুরা বেগম গ্রহণ তাকে করেন। এ সময় মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্প অফিসার ইনচার্জ, মো: ওমর ফারুকসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্প অফিসার ইনচার্জ, মো: ওমর ফারুক বলেন আব্দুল মতিনের চিকিৎসার দায়িত্ব আমি গ্রহণ করি। তাছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাকালে সার্বিক সহযোগিতা করেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন কর্মকর্তারা। পরি শেষে আমি মতিনকে তাহার পরিবারে হতে তুলে দিতে পারে নিজেকে ধন্য মনে করি। বিজ্ঞপ্তি