স্টাফ রিপোর্টার :
বন ও পরিবেশ মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপি বলেছেন, পরিবেশ সংরক্ষণে যেকোন অনৈতিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ কঠোরতা দেখানো হবে। পরিবেশের স্বার্থে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি শনিবার সিলেটে ‘সিলেট বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র’ পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় সভা এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বায়ু কিংবা পরিবেশ যেসব কারণে দূষিত হয় সেগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো ইটভাটা। দেশের উন্নয়নে ইটভাটার প্রয়োজন আছে।
তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে প্রয়োজনের খাতিরেই ইটভাটা স্থাপন করা হচ্ছে। কিন্তু একটি প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যকে চরমভাবে উপেক্ষা করা সমীচীন নয়।
তিনি জানান, দেশে যতোগুলো ইটভাটা আছে সেগুলো বেশীরভাগই আইন অমান্য করে স্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া স্কুল-কলেজের ও লোকালয়ের পাশে সেগুলো স্থাপন হওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে দেশের মানুষ।
ইটভাটা বন্ধে নতুন আইন প্রণয়নের কাজ চলছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আগামীকালই সংসদে নতুন আইনটি তোলা হবে।
মন্ত্রী জানান, দেশের অবকাঠামো নির্মাণে সারাদেশে মাত্র দশটি আধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত ইটভাটা থাকলেই যথেষ্ট। এসকল ইটভাটায় প্রতিদিন অন্তত এক লক্ষ ইট প্রস্তত করতে সক্ষম হবে। দশজন আলাদা আলাদা ইটভাটা না খোলে দশজন মিলে একটি করে এভাবে মাত্র দশটি ইটভাটা দিয়ে দেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব। বছরের ৩৬৫দিনই এসব ইটভাটায় ইট উৎপাদন হবে।
এছাড়া পরিবেশ বিধ্বংসী বালু ও পাথর কাটার মেশিন ‘বোমা মেশিন’ বন্ধে কঠোর হতে সিলেট বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর কর্মকর্তাবৃন্দের নির্দেশ দেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সিলেটকে পর্যটন ক্ষেত্রে এগিয়ে নিতে বন ও পরিবেশ খাতে জনবল নিয়োগ, পদোন্নতি প্রদান এবং ডিপ্লোমা স্কেল করার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
সিলেট বন বিভাগের কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলতাফ হোসেনের যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিসিকের ২০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ।