ক্রীড়াঙ্গন রিপোর্ট :
এক কথায় শ্রীলঙ্কার জন্য ঐতিহাসিক এক জয়। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে লঙ্কানদের ইতিহাসে দ্বিতীয় টেস্ট জয়। এর আগে সবশেষ ২০১১ সালে এই ডারবানেই নিজেদের ইতিহাসে প্রথম জয় পেয়েছিল দলটি। আর শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এলো লঙ্কানদের দ্বিতীয় জয়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে ১ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিল সফরকারীরা।
২২১ রানের লক্ষ্য নিয়ে চতুর্থ দিন ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। হাতে ৭ উইকেট। সামনে আরও একদিন। কিন্তু সেই একদিন হাতে রেখেই কুশল পেরেরা ও বিশ্ব ফার্নান্দোর অসাধারণ ধৈর্য ও জুটিতে এলো ঐতিহাসিক এই জয়।
তৃতীয় দিনে ৩০৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮৩ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে লঙ্কানরা। চতুর্থ দিন ওশাদা ফার্নান্দো ২৮ ও কুশল পেরেরা ১২ রান নিয়ে উইকেটে আসেন। কিন্তু ৩৭ রান করতেই ফিরে যান ফার্নান্দো। কিন্তু অপর প্রান্তে টিকে থাকেন পেরেরা। দেখতে থাকেন একে একে তার সতীর্থদের আসা-যাওয়া। নিজে পূরণ করেন টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
অপর প্রান্তে কুশল মেন্ডিস ও নিরোশান দিকভেলা ফেরেন শূন্য রানে। কোনোভাবেই দলকে সহায়তা করতে পারেননি এ দুই ব্যাটসম্যান। তাদের ফেরান ডুয়ানে অলিভিয়ার ও ডেল স্টেইন।
এরপর ধনঞ্জয়া ডি সিলভা কিছুটা সময় চেষ্টা করলেও তিনিও ফেরেন হাফসেঞ্চুরি থেকে দুই রান দূরে থেকেই। জয়ের জন্য এক ধনঞ্জয়া ছাড়া আর কেউই পেরেরাকে সঙ্গ দিতে পারেননি।
তবে শেষের দিকে বিশ্ব ফার্নান্দো রান তেমন না করতেও পারলেও পেরেরাকে উইকেটে টিকে থাকতে দারুণভাবে সহায়তা করেন। নিজে ২৭ বলে ৬ রান করলেও পেরেরাকে দলের জয়ে দারুণভাবেই সাহায্য করেন। শেষ পর্যন্ত ২০০ বলে ১৫৩ রান করে দলকে জয় উপহার দিয়ে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন পেরেরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কেশব মহারাজ নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন ডুয়ানে অলিভিয়ার ও ডেল স্টেইন। আর একটি করে নেন কাগিসো রাবাদা ও ভারনন ফিল্যান্ডার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা-২৩৫ ও ২৫৯
শ্রীলঙ্কা-১৯১ ও ৩০৪/৯ (টার্গেট ৩০৪)