সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর থেকেই জেলার প্রত্যেকটি উপজেলায় বিদ্রোহের সুর উঠেছে। মনোনয়ন না পেয়ে তাদের অনেকেই প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাদের সমর্থকরাও এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানাভাবে প্রার্থীতা বিষয়েও প্রচারণা চালাচ্ছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষরা এটাকে আবার কৌশল মনে করছেন। তাদের ধারনা যদি এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ছাড়া অন্য কোন দল অংশ না নেয় তাই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে এটা আওয়ামীলীগের একটি কৌশল হতে পারে।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছেন গত উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর এড. মণীষ কান্তি দে মিন্টু। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন শেষ পর্যন্ত লড়াই করবেন।
দিরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হনে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মঞ্জুর আলম চৌধুরী, তিনি শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘোষণা দেস। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন রায়ও প্রার্থী হবেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার চলছে।
শাল্লা উপজেলায় বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি, আওয়ামী লীগ মনোনয়নবঞ্চিত শাল্লা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট অবনী মোহন দাস। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন মাঠ ছেড়ে যাবনা।
মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে জামালগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাচনা বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শামীম। তিনি জানান, মাঠ ছাড়বোনা। তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা সমর্থন দিয়ে আমাকে প্রার্থী করেছিল। তারা আমাকে মাঠ না ছাড়ার অনুরোধ করেছেন। আমি নির্বাচন করবই।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন ইমন। তিনি শনিবার সন্ধ্যা থেকেইে প্রচারণা শুরু করেছেন।