জেড এম শামসুল :
সজির ভরা মৌসুমে হাট বাজার মৌসুমী সবজির মূল্যে গ্রাহকদের ক্রয় ক্ষমতায় মধ্যে থাকলেও মজুদদার ওফরিয়াদের দৌরাত্ম্যপনার হাত থেকে রক্ষা করতে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার বিকল্প নেই।
বর্তমান সবজির ভরা মৌসুমে সব ধরনের সবজির মূল্যে সাধারণ গ্রাহকদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। কিন্তু মৌসুমী সবজি সংরক্ষণের কোন সুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকায় সবজির মৌসুম শেষ হলেই সবজির মূল্যে সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যায়।
দেখা দেয় সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে দুর্গতি। সবজির বাজার বাজার নিয়ন্ত্রণে হিমসিম খেতে হয়। গ্রাহকদের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয় বাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।
অঞ্চলে মৌসুমী ফলমূল, শাকÑসবজি রক্ষণে হিমাগার স্থাপনের প্রয়োজনীতার উপর অনেক লেখালেখি হয়েছে। কিন্তু অদ্যাবধি সিলেট অঞ্চলে বিশেষ করে বড় ধরনের শাকÑসবজি সংরক্ষণের জন্যে কোন হিমাগার গড়ে উঠেনি। যদিও দক্ষিণ সুরমায় সরকারী ভাবে নির্মিত হিমাগার থাকলেও এসব হিমাগারের মজুদ ক্ষমতা খুবই কম।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, লাল শাক এক পাল্লা ৫ কেজি ১শ’ টাকা, কপি (পাতা ফুল) ৪/৫ কেজি ওজনের প্রতিটি ৫০ টাকা, মিষ্টি লাউ গড়ে ৫০/৬০ টাকা, শিম ৩০/৪০ টাকা, ধনিয়া ৪০ টাকা, বেগুন ৩০টাকা, কাঁচা মরিচ ৩০/৪০ টাকা, টমেটো ২০/২৫ টাকা, স্থানীয় লেবু ১০/১৫ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৩০ টাকা, অন্যান্য শাক-সবজির মূল্যে ক্রয় ক্ষমতার ভিতরে রয়েছে। গ্রাহক সাধারণের সুবিধার জন্য বাজার নিয়ন্ত্রণ খুবই জরুরী।
সবজির বাজার নিয়ন্ত্রণে বিক্রেতা, আড়ৎদার এবং সাধারণ গ্রাহকদারদের মতে সিলেট অঞ্চলের মৌসুমী সবজি সমূহ যথা সময়ে মজুদ করা হলে সবজির বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে সর্বমহলের প্রত্যাশা।