বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিকটাত্মীয়সহ একই পরিবারের ১০জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। সেই সাথে গ্রামের পয়েন্টে টিনসেডের দোকানঘর ভাংচুর করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ২ লাখ টাকার মালপত্র লুটপাটেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ৭জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ঝুনুর আলী (৬০) তার দুই ছেলে চেরাগ আলী (৩৫) ও নুর আলীর (৩০) অবস্থা আশংকাজনক রয়েছে বলে ঝুনুর আলীর মেয়ে সালমা বেগম জানিয়েছেন। গতকাল বুধবার ভোরে উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামে হামলা ও ভাংচুরের এ ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উদয়পুর গ্রামের ঝুনুর আলী পক্ষ ও একই গ্রামের কাজী আব্দুল মুকিদ পক্ষের মধ্যে পূর্ব বিরোধ রয়েছে। প্রায় ৬ মাস আগে ঝুনুর আলী পক্ষ কাজীর বিরুদ্ধে একাধিক চাকুরি করার অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। প্রশাসনিক তদন্তের পাশাপাশি এ নিয়ে সালিশ বৈঠকও চলছিল। উভয় পক্ষে এক লাখ টাকা করে আমানত রেখে গতকাল বুধবার প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ সকলের উপস্থিতিতে উদয়পুর মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ার কথাও ছিল। কিন্তু এর আগেই কাজী মুকিদ পক্ষ ঝুনুর পক্ষের উপর হামলা করেন এবং দোকানঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেন। গুরুতর আহত অপর চারজন হলেন, ঝনুর আলীর বেওয়াই আব্দুল মালিক (৬০) পুত্রা (বেওয়াইর ছেলে) জামাল আহমদ (৩২), কামাল আহমদ (২৫) ও ছেলের বউ সেলিনা বেগম (২৮)।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উদয়পুর গ্রামের কাজী আব্দুল মুকিদ জানান, ৪/৫দিন আগে ফয়সল আহমদ নামের তার এক ভাতিজার উপর হামলা করায় বুধবার ভোরে গ্রামের লোকজন ঝুনুর আলী পক্ষের উপর হামলা করেছেন, তবে লুটপাট করা হয়নি।
বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ প্রতিবোদককে বলেন, এটি দুঃখজনক, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।