পিন্টু দেবনাথ কমলগঞ্জ থেকে :
একটি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার ওয়ারেন্টে গ্রেফতারের পর সেটি ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় ৭ ঘণ্টা হাজতবাস করে ছাড়া পেয়েছেন এক ব্যবসায়ী নেতাসহ তিনজন। রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের বৃন্দাবনপুর এলাকার নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন বৃন্দাবনপুর রাজদিঘীর পার বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: ফজলুর রহমান (৪৫), নন্দগ্রামের আবু বক্কর (৪২) ও ইমরান আহমদ (৩৩)। একটি ওয়ারেন্ট হাতে নিয়ে কমলগঞ্জ থানার শমশেরনগর ফাঁড়ির পুলিশ যায় তাদের বাড়িতে তাকে গ্রেফতার করতে। হঠাৎ করেই পুলিশ আসার কারণ জানতে চেয়ে অবাক হন ফজলুর রহমান নিজেও। ফজলুর রহমানকে পুলিশ সদস্যরা জানান, তার নামে ঢাকার কদমতলী থানা থেকে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে। অথচ ফজলুরের নামে কোনো মামলাই নেই। তিনি পুলিশকে জানান, তার নামে কোন মামলাই নেই। রাত ৩.২০ মিনিটের সময় তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। এভাবে একই ভুয়া ওয়ারেন্টে একই এলাকার নন্দগ্রামের আবু বক্কর (৪২) ও ইমরান আহমদ (৩৩) কে আটক করে পুলিশ। গত রবিবার দিবাগত রাত সোয়া ৩ টার দিকে এই অভিযান করে শমসেরনগর ফাঁড়ির পুলিশ। পরে পুলিশ আটককৃত তিনজনকে এনে প্রথমে কমলগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়। কমলগঞ্জ থানা কর্তৃপক্ষ এই তিনজনকে গ্রহণ না করায় রাতেই তাদেরকে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির হাজতে রাখা হয়। সকালে খবর পেয়ে এলাকার রাজনৈতিক, সামাজিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়িতে এসে চ্যালেঞ্জ করলে পুলিশ ওয়ারেন্টটি ভুয়া বলে প্রমাণ হয়। পরে সোমবার দুপুর সাড়ে ১১টায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক অরুপ কুমার চৌধুরী বলেন, ঢাকার কদমতলী থানার ২০১৮ সালের ফেব্র“য়ারি মাসের নারী ও শিশু নির্যাতনের একটি মামলার ওয়ারেন্টটি আমাদের কাছে আসায় আমরা তাদেরকে গ্রেফতার করেছিলাম। পরে বিষয়টি যাচাই বাছাই করে ভুয়া মনে হওয়ায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কে বা কারা এই বিষয়টি করেছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আরিফুর রহমান বলেন, ঢাকা থেকে পাঠানো একটি মামলার ওয়ারেন্ট বলে তিনজনকে আটক করা হয়েছিল। ওয়ারেন্টটি ভুয়া মনে হওয়ায় সোমবার সকালে শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে তাদেরকে সম্মানের সঙ্গে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে এ জাতীয় ভুয়া ওয়ারেন্টের কপি কিভাবে কমলগঞ্জে এসেছে সে ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি। ঢাকা আদালত থেকে যারা ওয়ারেন্টের কপি লেখেন তাদের মাধ্যমে এই কাজ সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।