ক্রীড়াঙ্গন রিপোর্ট :
এই না হলে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ? আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলল ১৯২ রান। জবাবে ৯ উইকেটে পাকিস্তান থামল ১৮৬ রানে। সফরকারীদের ৬ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল প্রোটিয়ারা।
১৯৩ রানের লক্ষ্যটা প্রায় টপকে ফেলেছিল পাকিস্তান। শেষ ওভারে জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। কিন্তু ক্রিস মরিসের করা ওই ওভারে ৯ রানের বেশি নিতে পারেনি পাকিস্তান।
৩৯ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট লাভ করেন মরিস। শেষ ওভারে দারুণ বোলিংয়ে দলকে এনে দিয়েছেন জয়। এর আগে ব্যাট হাতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বড় সংগ্রহ এনে দেন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস আর রেজা হেনড্রিকস। ৪৫ বলে ছয় বাউন্ডারি আর চার ওভার বাউন্ডারিতে প্লেসিস করেন ৭৮ রান। ওপেনার হেনড্রিকস ৪১ বলে ৭৪ রানের একটি ইনিংস উপহার দেন। যাতে রয়েছে আটটি চার ও দুটি ছক্কার মার।
তবে এদের কেউই ম্যাচসেরা হননি। ম্যাচসেরা হয়েছেন ডেভিড মিলার। তার প্রাপ্য ছিল পুরস্কারটা। শেষ ওভারে পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলা শোয়েব মালিকের (৩১ বলে ৪৯) ক্যাচসহ ধরেছেন আসিফ আলী (৭ বলে ১৩), হাসান আলী (৫ বলে ১১) আর ইমাদ ওয়ামিমের (২ বলে ৪) ক্যাচ। সঙ্গে সরাসরি থ্রোতে দুটি রান আউট! এর মধ্যে একটি বাবর আজমের। বাবর থাকলে ম্যাচের ফল ভিন্ন হতে পারত। ২৭ বলেই ৩৮ রান করে ফেলেছিলেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৯২/৬ (রেজা হেনড্রিকস ৭৪, ফাফ ডু প্লেসিস ৭৮, ডেভিড মিলার ১০; উসমান শিনওয়ারি ৩/৩১, ইমাদ ওয়াসিম ১/২৩, হাসান আলী ১/৩৪)
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৮৬/৯ (বাবর আজম ৩৮, হুসাইন তালাত ৪০, শোয়েব মালিক ৪৯; বেউরান হেনড্রিকস ২/৪০, ক্রিস মরিস ২/৩৯, আন্দিল ফেলুকায়ো ১/২৭, তাবরাইজ শামসি ২/৩৩)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: ডেভিড মিলার (দক্ষিণ আফ্রিকা)।