কাজিরবাজার ডেস্ক :
আসন্ন মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বহন ও এর প্যাকেট খোলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রশ্নফাঁস রোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই নিদের্শনা জারি করেছে। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের চার হাজার ৯৬৪টি কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠেয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সামনে রেখে সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করে।
এতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক কেন্দ্রের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট/কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) নিয়োগ দিতে হবে। তারা ট্রেজারি/থানা হতে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা তার মনোনীতি উপযুক্ত প্রতিনিধিসহ প্রশ্নপত্র গ্রহণ করে পুলিশ প্রহরায় কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন।
পরিপত্রে বলা হয়, নিরাপত্তা হেফাজত হতে পরীক্ষার কেন্দ্রে এমসিকিউসহ রচনামূলক সৃজনশীলের সব সেট প্রশ্নই নিতে হবে। সেটকোড পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে জানানো হবে। সে অনুযায়ী, নির্ধারিত সেটকোডে পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার), কেন্দ্র সচিব ও পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতি ও স্বাক্ষরে বিধি অনুযায়ী প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলতে হবে। এ তিনজনের উপস্থিতি ও স্বাক্ষর প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলার জন্য বাধ্যতামূলক।
এতে আরও বলা হয়, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে সব পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ করতে হবে। অনিবার্য কারণে এরপর কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে আসলে রেজিস্ট্রারে তার নাম, ক্রমিক নং ও বিলম্বের কারণ রিখে রাখতে হবে। বিলম্বে আসা পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্র সচিব সংশ্নিষ্ট শিক্ষা বোর্ডকে অবহিত করবেন। কেন্দ্র সচিব ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। এর ব্যত্যয় হলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, পরীক্ষা চলাকালীন ও এর আগে পরে পরীক্ষা সংশ্নিষ্ট কাজের সময়ে, কেন্দ্রে পরীক্ষা ও পরীক্ষা সংশ্নিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ব্যতীত অন্যদের প্রবেশ, সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হলো। এ সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশকারী অননুমোদিত ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এরই মধ্যে এই পরিপত্র দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার, শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসক, ম্যাজিস্ট্রেট, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্নিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।