কাজিরবাজার ডেস্ক :
সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধী কোটা বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। তিনি বলেন, এটা আইনে আছে। তাই আগের মতোই প্রতিবন্ধী কোটা বহাল থাকছে।
‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা বিধিমালা- ২০১৫ এর আলোকে প্রতিবন্ধী বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনার খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ কর্মপরিকল্পনায় প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বহাল থাকছে।’
সোমবার তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রী সভার বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রতিবন্ধীদের নিয়ে আইনে যে প্রভিশন আছে তা কিন্তু বাতিল হয়নি। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অর্ডার দিয়ে আইন কখনো সুপারসিট (ডিঙিয়ে যায় না) হয় না। আমাদের এই অংশটা প্রশাসনিক ব্যবস্থায় হবে।’
তাহলে প্রতিবন্ধীদের জন্য কত শতাংশ কোটা থাকছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আগে যা ছিল সেটাই আছে। এটা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আইন বা বিধিমালার আলোকে সেই ব্যাপারে গাইডলাইন দেয়া হয়েছে। প্রবেশগম্যতা বা অ্যাক্সেসিবিলিটি, অর্থাৎ প্রতিবন্ধীরা চলাফেলার ক্ষেত্রে কোন জায়গায় কীভাবে যাবেন সেটা নিয়ে অনেকগুলো বিষয় রাখা আছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রবেশগম্যতা যেমন- ভৌত অবকাঠামো, পরিবহন ও যোগাযোগসহ জনসাধারণের প্রাপ্য সব সুবিধা ও সেবাসমূহে অন্যদের মতো সমসুযোগ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্যবহার উপযোগী নিশ্চিত করা। যেমন- বাসে আজকাল প্রতিবন্ধীরা উঠতে গেলে একজন টেনে তুলতে হবে বা ল্যাডার লাগাতে হবে। অন্য দেশে দেখবেন যে বাস বে’র সাথে সেইম লেবেল, হুইল চেয়ার দিয়ে উঠে যেতে পারে। আমাদের আস্তে আস্তে ওই বিষয়গুলোর মধ্যে যেতে হবে, এ বিষয়গুলো এখানে আছে।’
‘অর্থাৎ গণপরিবহন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ব্যবহার উপযোগী করার নির্দেশনা আছে, এটা করতে হবে।’
শফিউল আলম বলেন, ‘ভবনগুলোতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড-২০০৬ এর বিধানগুলো কার্যকর করা। যেমন- সব গণস্থাপনা ভবন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, আদালত, পুলিশ স্টেশন, আইনি সহায়তা কেন্দ্র, রেল স্টেশন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল, বিমান বন্দর, নৌ ও স্থল বন্দর, দুর্যোগকালীন আশ্রয় কেন্দ্র, সাইক্লোন সেল্টার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান স্থল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, উড়াল সেতু, পরিসেবার স্থান, বিনোদন ও খেলাধুলার স্থানসহ সকল জায়গায় এটা (বিল্ডিং কোড বাস্তবায়ন) করা।’
‘বিমানে আই-চেয়ার, কেবিন চেয়ারের ব্যবস্থা রাখা, দুর্যোগকালীন আশ্রয় কেন্দ্র ও সাইক্লোন সেল্টার শিশু ও দুগ্ধ কন্যার প্রবেশগম্য টয়লেট ইত্যাদি রাখার পরিকল্পনা রাখা হয়েছে। এগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করা হবে।’