হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য পদে হবিগঞ্জের আট নারী নেত্রীকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। তাদের একজন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের নেত্রী শামীমা শাহরিয়ার সুনামগঞ্জের বধূ। শামীমা শাহরিয়ার সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। এবার সুনামগঞ্জ জেলা থেকে সংরক্ষিত আসনের এমপি পদে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। অপর সাতজন হলেন বর্তমান সংসদ সদস্য এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শিশু ও পরিবারকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মাহফুজা বেগম সাঈদা, যুব মহিলা লীগ হবিগঞ্জ জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য ফাতেমাতুজ্জহুরা রিনা, সাবেক মন্ত্রী দেওয়ান ফরিদ গাজীর মেয়ে সিলেট জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান দেওয়ান রুবা জেবীন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পর্যবেক্ষক উপ-কমিটির সদস্য ও জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক ফাহিমা চৌধুরী মনি, হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শিরিন আক্তার, হবিগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি ইসমত চৌধুরী ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক মহিলা এমপি আবেদা চৌধুরীর মেয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য ডা. নাজরা চৌধুরী। এই ৮ নারীনেত্রীর কেউ কেউ গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাতের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের কারও স্বামী বা বাবা-মা, শ্বশুর আওয়ামী লীগের বড় নেতা। এবার নতুনদের বেশি সুযোগ দেওয়ার সম্ভাবনার কথা আলোচনায় থাকায় আগ্রহীদের স্বজনরাও নানাভাবে তৎপরতায় যুক্ত হয়েছেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর কমান্ডেন্ট মানিক চৌধুরীর মেয়ে আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী সিলেট ও হবিগঞ্জ জেলা নিয়ে সংরক্ষিত আসনে এমপি নির্বাচিত হন। তিনি নবীগঞ্জ-বাহুবলে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড করে আলোচিত হন। গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন-প্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। বাছাইয়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ায় কেয়া চৌধুরী আর আপিল করেননি। স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী এডভোকেট মাহফুজা বেগম সাঈদা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। মনোনয়নের পওায়ার সম্ভাবনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন চাইব। আশা করি নেত্রী আমাকে মূল্যায়ন করবেন।’ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পর্যবেক্ষক উপকমিটির সদস্য ফাহিমা চৌধুরী মনি প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নেবেন তা মেনে নেবেন বলে জানান। মনোনয়ন-প্রত্যাশী দেওয়ান রুবা জেবীন চৌধুরীও প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর আস্থা রাখবেন। শিরিন আক্তার আশা করছেন তার দীর্ঘদিনের রাজনীতির মূল্যায়ন করবে দল ও প্রধানমন্ত্রী। ডা. নাজরা চৌধুরী বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি। মা-বাবা দুজনই আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন, দলের জন্য কাজ করেছেন। আশা করি এসবের মূল্যায়ন পাব আমি।’ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে দিনরাত মাঠে কাজ করেছেন যুব মহিলা লীগ হবিগঞ্জ জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য ফাতেমাতুজ্জহুরা রিনা। তিনি বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে দলের হয়ে কাজ করছি। আশা করছি নেত্রী আমাকে মূল্যায়ন করবেন।