শাবি থেকে সংবাদদাতা :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী তাইফুর রহমান প্রতীকের আত্মহত্যার ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতীকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবি) বিভাগের ২০১১-১২ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ফরিদ উদ্দীন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিকালচার এন্ড মিনারেল সায়েন্স ফ্যাকাল্টির ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বেলাল উদ্দীনকে প্রধান করে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. মো আনোয়ারুল ইসলাম ও সহকারী প্রক্টর মো. সামিউল ইসলাম।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতীকের আতœহত্যার জন্য শাবির জিইবি বিভাগের শিক্ষকদের দায়ী করেছেন তার বড় বোন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন ডিসঅর্ডার বিভাগের শিক্ষক শান্তা তাওহিদা। অনার্সে ১ম শ্রেণিতে ১ম হওয়া হওয়া সত্ত্বেও প্রতীককে মাস্টার্সে সুপারভাইজার না দেয়া এবং বিভিন্ন কোর্সে কম নাম্বার দেয়ার অভিযোগ করেন শান্তা তাওহিদা।
এ ব্যাপারে জিইবি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক শামসুল হক প্রধান বলেন, সুপারভাইজার না দেয়া বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারছি না। আমি কিছুদিন হল বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বে এসেছি। এ বিষয়কে সামনে রেখেই তদন্ত করা হবে।
অন্যদিকে প্রতীকের বন্ধু ফাহমিদ হোসেন ভূঁইয়া জানান, প্রতীক কয়েকদিন ধরে ব্যক্তিগত কিছু সমস্যা নিয়ে হতাশায় ছিল এবং বন্ধুদের সাথেও যোগাযোগ কমিয়ে দিয়েছিল। সেজন্য ঠিক কি বিষয় নিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে সে সম্পর্কে নিশ্চিত নন তারা ।
প্রতীকের মৃত্যুও বিষয়টি প্রথমে তার কোন বন্ধুই জানতে পারেন নি। কিছুদিন পূর্বে সে একটি নতুন বাসা ভাড়া নেয় যার ঠিকানা তার কোন বন্ধুই জানতেন না। তার বোন শান্তা তাওহিদা জামার্নি থেকে সর্বপ্রথম শাবি ভিসিকে ফোন দিয়ে মৃতে্যুও বিষয়টি জানান এবং পওে তার বন্ধুদের সহায়তায় পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় ।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলে নগরীর কাজলশাহ এলাকার একটি বাসা থেকে পুলিশ ফ্যানে ঝুলন্ত লাশ অবস্থায় প্রতীকের লাশ উদ্ধার করে।