বহুল আলোচিত ফেলানী হত্যার ৮ বছর আজ

200

কাজিরবাজার ডেস্ক :
ফেলানী হত্যার ৮ বছর আজ। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হয় কিশোরী ফেলানীর। সাড়ে চার ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে তার মৃতদেহ। ৮ বছরে কয়েকবার বিচার শুরু হলেও শেষ হয়নি। এতে হতাশ ফেলানীর পরিবার ও এলাকাবাসী নাগেশ্বরী রামখানা ইউনিয়নের কলোনীটারী গ্রামের নুরুল ইসলাম নুরু পরিবার নিয়ে থাকতেন ভারতে বঙ্গাইগাঁও গ্রামে। মেয়ে ফেলানীর বিয়ে ঠিক হয় বাংলাদেশে। তাই ২০১১ সালের ৬ জানুয়ারি মেয়েকে নিয়ে রওনা হয় দেশের উদ্দেশে। ৭ জানুয়ারি ভোরে ফুলবাড়ির অনন্তপুর সীমান্ত দিয়ে কাঁটাতারের ওপর মই বেয়ে আসার সময় বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে মৃত্যু হয় ফেলানীর। সাড়ে চার ঘণ্টা ঝুলে থাকে মরদেহ। ঘটনার আড়াই বছর পর ভারতে বিএসএফের বিশেষ কোর্টে শুরু হয় বিচার। ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে নির্দোষ রায় দিলে তা প্রত্যাখ্যান করে পুনর্বিচারের আবেদন করেন ফেলানীর বাবা। একইভাবে ২০১৫ সালের ২ জুলাই অমিয় ঘোষকে নির্দোষ রায় দিলে ফেলানীর বাবা ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের (মাসুম) মাধ্যমে হত্যার বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে দেশটির সুপ্রীমকোর্টে রিট আবেদন করেন। ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই রিট গ্রহণ করে সুপ্রীমকোর্ট। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর শুনানি পিছিয়ে ২৫ জানুয়ারি শুনানির তারিখ দেয় সুপ্রীমকোর্ট। বারবার বিচার কাজ পিছিয়ে যাওয়ায় হতাশ ফেলানীর বাবা-মা। তারা জানান, আমাদের মেয়ের বিচার কোনদিন পাব না ভারতের হাইকোর্টে।
বিচার নিয়ে হতাশ ফেলানীর এলাকাবাসী। দুই দেশের সমন্বয়ে ফেলানী হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবি করেন এলাকাবাসী।