নতুন মন্ত্রী সভায় নেই পুরনো ৩৬ জন

35
বর্তমান মন্ত্রী সভা থেকে বাদ পড়া অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান, সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

কাজিরবাজার ডেস্ক :
গত পাঁচ বছর ধরে যারা মন্ত্রী সভায় দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের মধ্যে ৩৬ জনই বাদ পড়েছেন। এদের মধ্যে যারা পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী ছিলেন তাদের প্রায় সবাই প্রবীণ নেতা। আর জোটের কোনো শরিক দলকেই মন্ত্রিত্ব দেননি শেখ হাসিনা।
রবিবার পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যাওয়া ৪৯ সদস্যের মন্ত্রী সভার মধ্যে ২৫ জন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দপ্তর ফিরে পাননি। এর বাইরে ভোটের আগে বাদ পড়া চার টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীর দুই জন ফিরে পাননি দায়িত্ব। আর নয় জন প্রতিমন্ত্রী ও দুইজন উপমন্ত্রী বাদ পড়েছেন।
যেসব মন্ত্রী বাদ : বাদ পড়ার তালিকাটাই বড় চমক। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু , বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহেমেদ, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বাদ পড়ার বিষয়টি বিস্ময় জাগানিয়া।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামালের বাদ পড়াটাও অনেকটা চমকের মতো।
জোটের শরিকদের মধ্যে সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, পরিবেশ ও পানিসম্পদ আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নাম নতুন মন্ত্রিসভায় না দেখে অবাক হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।
আর জাতীয় পার্টির নেতা বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ মন্ত্রিসভায় থাকছেন না, এই বিষয়টি আগেই জানা গিয়েছিল। দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আগেই জানিয়েছেন, এবার তারা মন্ত্রিসভায় থাকছেন না।
তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বাদ পড়তে যাচ্ছেন-এই গুঞ্জন আগেই ছিল।
আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা জানান, পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীদের মধ্যে যারা বাদ পড়েছেন তাদের প্রায় সবার ক্ষেত্রেই বয়স একটি বাধা। এদের সবাই প্রবীণ রাজনীতিক। তবে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে এখনো পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীর পদ ফাঁকা রয়েছে, যেগুলোকে এদের মধ্যে কয়েকজন দায়িত্ব পেতে পারেন।
প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে বাদ যারা : বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম হিরু, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলীও ফিরে পাননি দপ্তর।
মন্ত্রিসভায় জাতীয় পার্টির দুই প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ (এলজিআরডি) এবং মুজিবুল হক চুন্নু (শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী) বাদ যাচ্ছেন, সেটি এরশাদের ঘোষণার পরই চূড়ান্ত হয়।
দুই উপমন্ত্রীই বাদ : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এবং যুব ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ও পদ ফিরে পাননি। এদের মধ্যে জয় মনোনয়ন পাননি। যার কারণে তার বাদ পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত ছিল।